বেদানা বা ডালিম খাওয়ার উপকারিতা

ছোলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুনআসসালামু আলাইকুম, সুপ্রিয় পাঠক বেদানা বা ডালিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন ও বেদানা বা ডালিম চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
বেদানা বা ডালিম খাওয়ার উপকারিতা
কেননা এই আর্টিকেলে বেদানার বিস্তার, বেদনা খাওয়ার উপকারিতা ও বেদানা চাষের পদ্ধতি সহ বেদনার সকল বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি আপনার দেহের কোন কোন সমস্যায় কত পরিমানে বেদানা বা ডালিম ফল খাবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে আর্টিকেলে।
সূচিপত্র: বেদানা বা ডালিম খাওয়ার উপকারিতা

উপস্থাপনা

সুপ্রিয় পাঠক, আমাদের এই আর্টিকেলে বেদানা বা ডালিম খাওয়ার উপকারিতা ও বেদানা বা ডালিম চাষের পদ্ধতি সহ বেদনার সকল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি বেদানা ফল, বেদানা গাছের পাতা ও গাছের ছাল থেকে আপনি কি কি উপকৃত হবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে এই আর্টিকেলে। বেদানা ফল সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইল।

বেদানা বা ডালিম (বৈজ্ঞানিক নাম: Punica granatum)

বেদানা সাধারণত এক প্রকারের ফল যা বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষ খেয়ে থাকে। বেদনাকে সাধারণত হিন্দুস্থানী, পসতু ও ফার্সি ভাষায় আনার বলা হয়ে থাকে। কুর্দি ও আজারবাইজানি ভাষায় বেদেনাকে বলা হয় ইনার এবং নার। দারিম বলা হয় নেপালি এবং সংস্কৃত ভাষায়। বেদানার গাছ সাধারণত ৫-৮ মিটার লম্বা হয়ে থাকে যা গুল্ন জাতীয় উদ্ভিদ। বেদানা ফল সাধারণত পাকা অবস্থায় লাল রঙের হয়ে থাকে ও ফলের খোসার ভিতরের স্ফটিকের মত লাল রঙের দানা থাকে আর সেই দানা খাওয়া হয়।

বেদানা বা ডালিমের বিস্তৃতি

ইরাক এবং ইরানকে বেদানা বা ডালিমের আদি নিবাস ধরা হয়। প্রাচীনকাল থেকেই বেদেনার চাষ হয়ে আসছে ককেশাস অঞ্চলে যা পরবর্তী সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশে বিস্তার লাভ করেছে। ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যালিফোর্নিয়াতে স্পেনীয়রা বেদেনা নিয়ে যায় ১৭৬৯ সালের দিকে ফলে বর্তমান সময়েও ক্যালিফোর্নিয়া এবং এরিজোনায় বেদনার চাষ করা হচ্ছে। বর্তমান সময়ে বেদনা চাষ করা হয় মৌসুম ভেদে কেননা উত্তর গোলার্ধে বেদনার চাষ হয় সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মৌসুমে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বেদনার চাষ হয় মার্চ থেকে মে মৌসুমে।
বর্তমান সময়ে দক্ষিণ ইউরোপ এবং ক্রান্তীয় আফ্রিকায় ব্যাপকভাবে বেদনা চাষ করা হচ্ছে। তাছাড়াও তুরস্ক, ইরান, স্পেন, সিরিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, লেবানন, ভারত, মিশর, বার্মা, সৌদি আরব, জর্ডান, ইসরাইল ফিলিপাইন ও বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার শুষ্ক অঞ্চলে এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে বর্তমান সময়ে বেদানার চাষ করা হয় ব্যাপকভাবে।

বেদানা বা ডালিম চাষের পদ্ধতি

বর্তমান সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাণিজ্যিকভাবে বেদানা বা ডালিম ফলের চাষ করা হয়ে থাকে। আপনি চাইলে বাসার ছাদে বেদনার চারা রোপণ করতে পারেন। তার জন্য আপনাকে একটি বড় টব নিয়ে সেখানে মাটি দিয়ে রাখতে হবে তারপরে সেখানে চারা রোপণ করে নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে তবে যেন পানি না জমে আবার চারাতে যেন কোন প্রকার আগাছা আক্রমণ করতে না পারে।
নিয়মিত পরিচর্যা এবং দেখভাল করলেই খুব সহজে বাসার ছাদে বেদানা বা ডালিমের চাষ করা সম্ভব। আবার মাঠে বেদানার চারা রোপন করার পূর্বে মাটি ভালোভাবে সমান করে নিতে হবে ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। জীবাণুনাশক দিতে হবে নিয়ম অনুযায়ী অন্যথায় ফলন ভালো হবে না।মাঠে বাণিজ্যিকভাবে বেদানার চাষ করতে চাইলে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ ও সহযোগিতা নিন।

বেদানা বা ডালিমের ঔষধি গুনাগুন

বেদানা বা ডালিম ফল বর্তমান সময়ে ইউনানী এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ঔষধ হিসেবে ব্যাপক ব্যবহার করা হয়। বেদনা ফলে প্রচুর পরিমাণে আরসোলিকএসিড, বিউটেলিক এসিড ও বিভিন্ন অ্যালকালীয় দ্রব্য থাকার ফলে মানব দেহের বিভিন্ন রোগ হতে উপশম পাওয়া যায়। হৃদয়ের শ্রেষ্ঠতম হতিকর ফল হলো বেদানা। চা খাওয়ার ফলে মানব দেহের অনেক সমস্যার সমাধান হয়। কবিরাজি চিকিৎসা শাস্ত্রে কোষ্ঠ রোগীদের জন্য বেদনা ফল খুব উপকারী।
তাছাড়াও বেদানা গাছের শিকড়, ছাল ও ফলের খোসা আমাশয় ও উদরাময় রোগের মহাঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বেদানা বা ডালিম গাছের ফুল রক্তস্রাবনাশক। তাছাড়াও বেদানা বা ডালিম ব্যবহারের ফলে দেহের নানান সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব কেননা ডালিম গাছের ফল, ফলের খোসা, ডালিম গাছের পাতা, গাছের ছাল ও গাছের শিকড় সবকিছুই ওষধি কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কোন কাজে ডালিম ফলের বা গাছের ব্যবহার হয় সেই সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো,
  • রক্তপাত বন্ধ করতে
হঠাৎ কোন দুর্ঘটনার কারণে যদি শরীরে কোন অংশ ছিড়ে যায় বা থেতলে যায় এবং সেই জায়গা দিয়ে রক্ত বের হয় তাহলে সেই ক্ষতস্থানের রক্ত পড়া বন্ধ করতে বেদানা বা ডালিমের ফুল ব্যবহার করতে পারেন।
  • নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ করতে
নাক দিয়ে রক্ত ঝরা একটি সাধারণ রোগ যা ছোট থেকে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সকলের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। বিনা কারণে যাদের নাক দিয়ে রক্ত ঝরে তারা নিয়মিত ডালিমের ফুল কচলিয়ে রস বের করে সেটা নাকে দিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
  • আমাশয় নিরাময়ে
আমাশয়ের রোগী যারা আছেন তারা নিয়মিত ডালিমের খোসা সিদ্ধ করে খেতে পারেন তাতে করে খুব দ্রুত আমাশয় ভালো হয়ে যাবে। পাশাপাশি বেদানার কাঁচা খোসাও খাওয়া যাবে আমাশয় নিরাময় করার জন্য। সে কারণে ডালিম বা বেদানা খাওয়ার পর তার খোসা বাইরে ফেলে না দিয়ে রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে তা ঘরে সংরক্ষণ করে রাখুন প্রয়োজনে অনেক উপকার করবে ডালিমের খোসা।
  • বাগি বা উপদংশ নিরাময়ে
যেসব মানুষের শরীরে বাগি রয়েছে তারা ডালিম গাছের ছাল গুঁড়ো করে শরীরের বাগিযুক্ত স্থানে লাগানোর ফলে খুব দ্রুত বাগি নিরাময় করা সম্ভব।
  • প্রদরের সমস্যা নিরাময়ে
মহিলাদের প্রদররোগ নিরাময় করতে ডালিম ফুল অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে। প্রদর সাধারণত ২ প্রকারের হয় শ্বেতপ্রদর এবং রক্তপ্রদর। উভয় প্রকার প্রদরে ৫-৭ ডালিম ফুল ভালো করে বেটে নিয়ে সামান্য মধুর সাথে মিশিয়ে কয়েক দিন খাওয়ার ফলে প্রদরের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া সম্ভব।
  • গর্ভপাত নিরাময়ে
যেসব মহিলার গর্ভসঞ্চারের পরে খুব দ্রুত গর্ভপাত হয় সেই সব মহিলারা ডালিম গাছের পাতা ভালো করে বেটে নিয়ে মধু ও দধি একসাথে মিশিয়ে নিয়মিত সেবন করলে গর্ভপাতের আশঙ্কা দূর করা সম্ভব, তবে তার জন্য নিয়মিত ডালিম গাছের পাতা সেবন করতে হবে।
  • কৃমির সমস্যা নিরাময়ে
বাংলাদেশের জাতীয় সমস্যা হলো কৃমির সমস্যা যার কারণে শিশু থেকে বয়স্ক লোক সবাই কৃমি সমস্যায় ভোগে। কৃমি সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য ডালিম গাছের শিকড় থেকে ঝাল খুলে নিয়ে সেটি ভালোভাবে বেটে নিয়ে চুনের পানির সাথে মিশিয়ে নিয়মিত সেবন করলে কৃমিনাশ করা সম্ভব তবে বয়স ভেদে কম-বেশি পরিমাণে সেবন করতে হবে।
  • শিশুদের পেটের রোগ নিরাময়ে
যেসব শিশুরা পেটের বিভিন্ন সমস্যায় ভোগে তাদের জন্য ডালিম গাছের শিকড়ের ছাল নিয়ে ভালোভাবে গুঁড়ো করে মধুর সাথে কয়েকদিন নিয়মিত খাওয়ালে তাদের পেটের সমস্যা দূর হবে পাশাপাশি পেটে কোনরকম গ্যাস্টিকের সমস্যা থাকবে না।

বেদানা বা ডালিম খাওয়ার উপকারিতা

বেদনা বা ডালিম অত্যন্ত সুস্বাদু একটি ফল। যা খাওয়ার ফলে মানুষের দেহের নানান সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে। বিশেষ করে যেসব মানুষের শরীর শুকিয়ে যাওয়ার অভ্যাস হয়েছে তারা নিয়মিত বেদনা ফল খেতে পারেন। পাশাপাশি যাদের শরীরে রক্ত কম থাকে তারা নিয়মিত বেদনা ফল খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। বেদানা বা ডালিম ফল খাওয়ার ফলে দেহের কোন কোন সমস্যার সমাধান পাবেন সেই সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো,
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে
বেদানা বা ডালিমে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক ইনসুলিন রয়েছে যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই নিজের দেহের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত বেদনা বা ডালিম ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • দাঁতের গোড়া শক্ত করতে
বেদানা বা ডালিমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ভাইরাল নামক প্রপাটিজ রয়েছে যার কারণে বেদানা খাওয়ার ফলে মুখ গহবরের ভেতরে থাকা উপস্থিত ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে ফেলে যার ফলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয় এবং ক্যাভিটির মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে আসে।
  • শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে
শরীরে কিছু ক্ষতিকর এনজাইমের কারণে শরীরের ক্যালসিয়ামের মাত্রা অনেক কমে যায়। যার ফলে শরীরে কোন রকমের এনার্জি থাকে না এবং পর্যায়ক্রমে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এ ধরনের সমস্যা যাদের রয়েছে তারা নিয়মিত বেদানা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন কেননা বেদনাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়ামের উপাদান রয়েছে যা শরীরের ক্ষয় রোধ হতে সাহায্য করে থাকে। পাশাপাশি দেহের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া গুলোকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে থাকে। যার ফলে দেহ সতেজ, সুন্দর ও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে
যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত বেদানা বা ডালিম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন কেননা বেদনার রসে থাকা উপাদান ব্লাড ভেসেলে সৃষ্টি হওয়া প্রদাহকে কমাতে সাহায্য করে তার পাশাপাশি শরীরের রক্ত প্রবাহ বেড়ে যায় এবং ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই যাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত কাঁচা বেদনা অথবা বেদানার রস খাওয়ার অভ্যাস করুন।
  • ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে
যাদের ত্বকে ডার্ক স্পট ও ডার্ক সার্কেলের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত বেদনার রস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কেননা বেদানাতে থাকা উপাদান দ্রুত মানুষের ত্বককে সুন্দর করার জন্য কাজ করে থাকে। পাশাপাশি আপনি চাইলে বেদানা বা ডালিম গাছের পাতা পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ভাল করে বেটে নিয়ে সেটা ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ব্রণের দাগ, ডার্ক সার্কেল এবং ডার্ক স্পট খুব দ্রুত সেরে যাবে। পাশাপাশি হাত-পায়ের কাটা ছেড়ার দাগ নির্মূল করার জন্য বেদানা বা ডালিম গাছের পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
  • চুল পড়া কমাতে
যাদের মাথার চুল খুব সহজে পড়ে যায় তারা প্রতিদিন বেদনার রস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন পাশাপাশি চুলের গোড়া শক্ত করতে বেদানা বা ডালিম গাছের পাতা ভালো করে বেটে নিয়ে চুলে ২০-৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এবং পরবর্তী সময়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন তাহলে আপনার চুলের গোড়া অত্যন্ত শক্তিশালী এবং মজবুত হবে। পাশাপাশি যাদের চুল কোঁকড়ানো তারা নিয়মিত ডালিম গাছের পাতা ব্যবহার করে চুল সোজা করতে পারেন।
  • হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে
বেদানা বা ডালিমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপাদান রয়েছে। যার ফলে নিয়মিত বেদানা বা ডালিম খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে রক্তের প্রবাহ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং স্বাভাবিক ভাবেই হার্টের কর্মক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেক কমে আসে। তাই নিজের দেহের হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য নিয়মিত বেদানা বা ডালিম ফল খান।
  • শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে
মানুষের দেহকে সচল এবং সুস্থ রাখতে যতগুলো ভিটামিনের প্রয়োজন তার সবগুলোই বেদনা বা ডালিমে পাওয়া যায়। যেমন ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, ফলেট ও পটাশিয়াম সহ সকল উপাদান রয়েছে বেদানাতে। তাই দেহকে সুস্থ ও সবল রাখতে নিয়মিত বেদানা ফল খেতে পারেন। পাশাপাশি দেহকে সুস্থ রাখার জন্য ডালিম গাছের পাতা, ছাল ও মূল ব্যবহার করতে পারেন যেকোনো প্রয়োজনে।

বেদানা বা ডালিম বেশি খাওয়ার অপকারিতা

প্রতিটা খাদ্যের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তাই আপনি যে খাদ্য গ্রহণ করুন না কেন সেটা অবশ্যই দেহের প্রয়োজন অনুযায়ী খাবেন। তাছাড়া দেহের উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।পাশাপাশি আপনার দেহের কোন সমস্যায় আপনি বেদানা বা ডালিম ফল খাচ্ছেন সেই অনুযায়ী পরিমাণ মতো খান। পাশাপাশি সঠিক উপকার পেতে নিয়মিত বেদানা বা ডালিম ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রয়োজনে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দেহের সমস্যার সমাধান পেতে নিয়মিত এবং পরিমাণ মতো বেদানা বা ডালিম ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

শেষ কথা

সুপ্রিয় পাঠক, আর.বি.আর ব্লগের এই আর্টিকেলে বেদানা বা ডালিম খাওয়ার উপকারিতা এবং বেদানা বা ডালিম চাষের পদ্ধতি সহ সকল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। যেকোনো বিষয়ের সঠিক তথ্য সবার আগে জানতে আর.বি.আর ব্লগের গুগল মিউজিক ফলো দিয়ে রাখুন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url