কুষ্টিয়া জেলার সকল তথ্য জানুন
যশোর জেলার সকল তথ্য জানুনআসসালামু আলাইকুম, সুপ্রিয় পাঠক কুষ্টিয়া জেলার সকল তথ্য জানুন এবং কুষ্টিয়া জেলার অবস্থান ও আয়তন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
কেননা এই আর্টিকেলে কুষ্টিয়া জেলার সকল তথ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি কুষ্টিয়া জেলার অর্থনীতি সম্পর্কে সকল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এবং কুষ্টিয়া জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা ও কুষ্টিয়া জেলায় অবস্থিত রেলওয়ে স্টেশন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে এই আর্টিকেলে।
সূচিপত্র: কুষ্টিয়া জেলার সকল তথ্য জানুন
উপস্থাপনা
সুপ্রিয় পাঠক, কুষ্টিয়া জেলার সকল তথ্য জানুন এবং কুষ্টিয়া জেলার অবস্থান ও আয়তন কুষ্টিয়া জেলার অর্থনীতি, শিক্ষা ব্যবস্থা ও উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব সহ কুষ্টিয়ার সকল তথ্য জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন। বিশেষ করে কুষ্টিয়া জেলার ইতিহাস নিয়ে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে সেই কারণে কুষ্টিয়ার সঠিক ইতিহাস জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইলো।
কুষ্টিয়া নামকরণের ইতিহাস
ইতিহাস থেকে যতদূর জানা যায় যে কুষ্টিয়াতে এক সময় প্রচুর পরিমাণে পাট উৎপাদন করা হতো। এবং পাটকে স্থানীয় ভাষায় ''কুষ্টি'' বা ''কোষ্টা'' বলা হয় আর সেখান থেকেই কুষ্টিয়া নামের উৎপত্তি ঘটেছে। আবার অনেক ইতিহাসবিদ বলে থাকেন ফারসি শব্দ ''কুশতহ'' থেকে কুষ্টিয়ার উৎপত্তি হয়। আবার সম্রাট শাহজাহানের শাসনামলে ''কুষ্টি'' বন্দরকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া শহরের উৎপত্তি হয়েছিল বলে জানা যায়।
কুষ্টিয়া জেলার ইতিহাস
কুষ্টিয়া জেলা তৎকালীন সময়ে অবিভক্ত ভারতের নদীয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল তাছাড়া পাবনা জেলার মহকুমা এবং থানা হিসেবে রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ছিল কুষ্টিয়া জেলা। আবার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে যশোর জেলার অধীনস্থ ছিল কুষ্টিয়া জেলা। কুষ্টিয়া পৌরসভা গঠন করা হয়েছিল ১৮৬৯ সালের দিকে এবং হ্যামিলটন্স গ্যাজেটে সর্বপ্রথম কুষ্টিয়া শহরের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। কুষ্টিয়া কোন প্রাচীন নগর ছিলনা কারণ সম্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালে কুষ্টিয়াতে নদী বন্দর স্থাপন করা হয়েছিল।
আরো পড়ুন: পাবনা জেলা সম্পর্কে
পরবর্তীতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নদীবন্দর ব্যবহার করত এবং সেই সময় নীলচাষী এবং নীলকরদের আগমনের ফলে আস্তে আস্তে কুষ্টিয়া নগরায়নের পরিণত হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজধানীর সাথে কলকাতার সরাসরি রেললাইন স্থাপন করা হয়েছিল ১৮৬০ সালের দিকে আর সে কারণেই কুষ্টিয়া অঞ্চলকে শিল্প-কারখানার জন্য আদর্শ স্থান বলে বিবেচিত করা হয়েছিল এবং সে সময় মোহনি মিল এবং রেনউইক যজ্ঞেশ্বর এন্ড কোম্পানি লিমিটেড স্থাপন করা হয়।
পরবর্তী সময়ে কুষ্টিয়া পৃথক জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ১৯৪৭ সালের ভারতবর্ষ ভাগের সময়। এবং তৎকালীন সময়ে গঙ্গা ও কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের সদর দপ্তর স্থাপন করা হয় কুষ্টিয়া জেলায় ১৯৫৪ সালে। তার পাশাপাশি অনেক সরকারি অফিস স্থাপন করা হয়েছিল কুষ্টিয়া জেলাতে এবং বাংলাদেশের সর্বপ্রথম রেলওয়ে স্টেশন কুষ্টিয়া জেলায় স্থাপন করা হয় যার নাম জগতি রেলওয়ে স্টেশন রাখা হয়েছিল (বর্তমানে তার কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে)। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কুষ্টিয়া জেলা ৮ নং সেক্টরের অধীনে ছিল।
কুষ্টিয়া জেলার অবস্থান ও আয়তন
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল হলো কুষ্টিয়া। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পৌরসভা হলো কুষ্টিয়া পৌরসভা এবং বাংলাদেশের ১২ তম বৃহত্তম শহর হলো কুষ্টিয়া শহর। কুষ্টিয়া জেলার পশ্চিমে মেহেরপুর জেলা, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা ও মুর্শিদাবাদ জেলা, পূর্বে রাজবাড়ী জেলা, উত্তরে রাজশাহী জেলা, নাটোর জেলা ও পাবনা জেলা এবং দক্ষিণে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও ঝিনাইদহ জেলা অবস্থিত।
কুষ্টিয়া জেলার আয়তন হলো ১৬০৮.৮০ বর্গকিলোমিটার। এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সাথে কুষ্টিয়া জেলার সীমানা রয়েছে ৪৬.৬৯ কিলোমিটার।
কুষ্টিয়া জেলার অর্থনীতি
বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মতো কুষ্টিয়া জেলাও সম্পূর্ণ কৃষির উপর নির্ভরশীল এবং কুষ্টিয়া জেলার প্রায় ৭৮% মানুষ কৃষি কাজের সাথে জড়িত রয়েছে। তার পাশাপাশি কুষ্টিয়াতে অনেকগুলো শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে বিশেষ করে তামাকের কারখানা তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। পাশাপাশি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় গড়ে তোলা হয়েছে উন্নত মানের ফ্রেব্রিকস শিল্প এবং দেশের সর্ববৃহৎ বৈদ্যুতিক তার তৈরীর কারখানা বি.আর.বি কেবলস কুষ্টিয়া জেলাতে অবস্থিত।
আরো পড়ুন: নওগাঁ জেলা সম্পর্কে
এবং কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে চাল তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। কুষ্টিয়া জেলাতে প্রচুর পরিমাণে ধান, আখ, পাঠ ও তেল বীজ উৎপাদন করা হয়ে থাকে বিশেষ করে কুষ্টিয়ার তামাক চাষ সবচেয়ে বেশি লক্ষণীয়। তবে বর্তমান সময়ে কুষ্টিয়া জেলা একটি শিল্প সম্ভাবনাময় জোন হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে যেখানে কয়েক লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকেই শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে এসেছে কেননা দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের আধুনিকায়ন করার জন্য বাংলাদেশ সরকার অনেক আগে থেকেই সাধারণ মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। যার ফলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনেক নামিদামি সরকারি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। কুষ্টিয়া জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক আগে থেকেই উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছে বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়াতে স্থাপন করা হয়েছিল।
আরো পড়ুন: রাজশাহী জেলার শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে
বর্তমান সময়ে কুষ্টিয়া জেলাতে এমপিওভুক্ত কলেজ রয়েছে ৪২ টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে ২৩৮ টি, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৭৮ টি এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে ৭৬৮ টি। কুষ্টিয়া জেলার সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো,
- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া
- কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ
- কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
- কুষ্টিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ
- ভেড়ামারা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ
- হোসেনাবাদ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ
- কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ
- কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ
- কুষ্টিয়া সরকারি সেন্ট্রাল কলেজ
- আমলা সরকারি কলেজ
- ভেড়ামারা সরকারি কলেজ
- ভেড়ামারা সরকারি মহিলা কলেজ
- কুমারখালী সরকারি কলেজ
- খোকসা সরকারি কলেজ
কুষ্টিয়া জেলার উপজেলা সমূহ
বর্তমান সময়ে কুষ্টিয়া জেলায় ৬ টি উপজেলা রয়েছে।সেগুলো হলোঃ
- কুষ্টিয়া সদর উপজেলা
- দৌলতপুর উপজেলা
- ভেড়ামারা উপজেলা
- মিরপুর উপজেলা
- কুমারখালী উপজেলা
- খোকসা উপজেলা
কুষ্টিয়া জেলার পৌরসভা সমূহ
বর্তমান সময়ে কুষ্টিয়া জেলায় পৌরসভা রয়েছে ৫ টি।সেগুলো হলোঃ
- কুষ্টিয়া পৌরসভা
- ভেড়ামারা পৌরসভা
- মিরপুর পৌরসভা
- কুমারখালী পৌরসভা
- খোকসা পৌরসভা
কুষ্টিয়া জেলার ইউনিয়ন পরিষদ সমূহ
বর্তমান সময়ে কুষ্টিয়া জেলার ৬ টি উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ৬৭ টি। যেখান থেকে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত নানান সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকেন। তাছাড়াও কুষ্টিয়া জেলাতে মৌজা রয়েছে ৭১০ টি এবং গ্রাম রয়েছে ৯৭৯ টি। কোন উপজেলায় কয়টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে তা নিচে জানানো হলো,
মিরপুর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ১৩ টিসেগুলো হলোঃ
- ধুবইল ইউনিয়ন পরিষদ
- আমবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- মালিহাদ ইউনিয়ন পরিষদ
- কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদ
- পোড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদ
- ছাতিয়ান ইউনিয়ন পরিষদ
- সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- আমলা ইউনিয়ন পরিষদ
- ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- বারুইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ
- চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- বহলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- তালবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ
ভেড়ামারা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ৬ টি
সেগুলো হলোঃ
- বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ
- মোকারিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- ধরমপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- জুনিয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদ
- বাহিরচর ইউনিয়ন পরিষদ
সেগুলো হলোঃ
- দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- রাফাইতপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদ
- মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদ
- মরিচা ইউনিয়ন পরিষদ
- রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- পিয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- খলিষাকুন্ডি ইউনিয়ন পরিষদ
সেগুলো হলোঃ
- খোকসা ইউনিয়ন পরিষদ
- ওসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- বেতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- জানিপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- গোপগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ
- শোমসপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়ন পরিষদ
- আমবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ
সেগুলো হলোঃ
- কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- গোস্বামীদুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- মনোহরদীয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- হরিনারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- আব্দালপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- উজানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ
- ঝাউদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- পাটিকাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ
- আইলচারা ইউনিয়ন পরিষদ
- জিয়ারখি ইউনিয়ন পরিষদ
- আলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদ
- হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ
সেগুলো হলোঃ
- চরসাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- পান্টি ইউনিয়ন পরিষদ
- চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদ
- বাগুলট ইউনিয়ন পরিষদ
- চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদ
- নন্দলালপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- সদকি ইউনিয়ন পরিষদ
- জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- শিলাইদহ ইউনিয়ন পরিষদ
- কয়া ইউনিয়ন পরিষদ
কুষ্টিয়া জেলায় অবস্থিত রেলওয়ে স্টেশন সমূহ
সরকারি যাত্রীসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে। সাধারণ মানুষকে যাত্রী সেবা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের রেলওয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেল পরিচালনা করে থাকে যাতে করে মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করতে পারে। সাধারণ মানুষের রেলগাড়িতে চলাফেরা করার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেলওয়ে স্টেশন স্থাপন করা হয় তার ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়া জেলায় বর্তমানে ১১ টি রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে যাত্রীদের সেবা দিয়ে আসছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সে রেলওয়ে স্টেশন গুলো হলো,
- কুষ্টিয়া রেলওয়ে স্টেশন
- কুষ্টিয়া কোর্ট রেলওয়ে স্টেশন
- ভেড়ামারা রেলওয়ে স্টেশন
- গোলবাথান রেলওয়ে স্টেশন
- মিরপুর রেলওয়ে স্টেশন
- খোকসা রেলওয়ে স্টেশন
- কুমারখালী রেলওয়ে স্টেশন
- চড়াইকোল রেলওয়ে স্টেশন
- জগতি রেলওয়ে স্টেশন (বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশন)
- পোড়াদহ জংশন রেলওয়ে স্টেশন
- হালসা রেলওয়ে স্টেশন
কুষ্টিয়া জেলার উল্লেখিত নদ-নদী সমূহ
আমাদের এই বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় বিভিন্ন নদ-নদীর শাখা-প্রশাখা দেখা যায়। তবে কুষ্টিয়া জেলায় দেশের বৃহত্তম নদীর বিচরণ রয়েছে অনেক আগে থেকেই। কুষ্টিয়া জেলার নদ-নদীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো,
- পদ্মা নদী
- মাথাভাঙ্গা নদী
- সাগরখালী নদী
- গড়াই নদী
- কালিগঙ্গা নদী
- কুমার নদ
- হিসনা নদী
কুষ্টিয়া জেলার চিত্রাকর্ষক স্থান সমূহ
কুষ্টিয়া অত্যন্ত প্রাচীন একটা জনপথ যা একসময় ভারতের নদীয়া জেলার একটি মহকুমা ছিল। আর সেই প্রাচীন আমল থেকেই কুষ্টিয়াতে প্রচুর প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়। তাছাড়া বর্তমানে অনেক নিদর্শন কুষ্টিয়াতে তৈরি করা হয়েছে সাধারণ মানুষের বিনোদনের জন্য যা দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ কুষ্টিয়াতে ভ্রমন করে থাকেন। কুষ্টিয়া জেলার উল্লেখিত চিত্রকর্ষক স্থানের মধ্যে রয়েছে,
- রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি
- লালন শাহ মাজার
- মীর মশাররফ হোসেন বস্তুটিভিটা
- ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ
- স্বস্তিপুর শাহী মসজিদ
- কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমি (বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্পকলা একাডেমী)
- লালন শাহ সেতু
- পাকশী রেল সেতু
- জগতি রেলওয়ে স্টেশন
- টেগর লজ
- মোহনি মিল (ভারতীয় উপমহাদেশের একসময়ের বৃহত্তম বস্ত্র কল)
- গোপীনাথ জিউর মন্দির
- হরিপুর ব্রিজ (গড়াই নদীর উপরে নির্মিত)
- জিয়া শিশু পার্ক
- রোজ হলিডে পার্ক এন্ড রিসোর্ট
- জেলা পরিষদ রবীন্দ্র-লালন উদ্যান
- রেনউইক পার্ক এন্ড রিসোর্ট
- মনিপার্ক
- কেয়া ইকো পার্ক
- ইউটিউব ভিলেজ (খোকসা উপজেলায় অবস্থিত)
- মন ভোলানো কাঠের বাড়ি
কুষ্টিয়া জেলার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশের অনেক জ্ঞানী গুণী ও স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ কুষ্টিয়া জেলাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। যারা নিজেদের কর্মের বিনিময়ে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের বুকে পরিচিত লাভ করেছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো,
- লালন শাহ, প্রখ্যাত বাউল ও মরমী গানের স্রষ্টা
- মীর মশাররফ হোসেন, সাহিত্যিক
- অক্ষয় কুমার মৈত্রয়, ইতিহাসবিদ, আইনজীবী ও সাহিত্যিক
- কাজী মোতাহার হোসেন, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ
- মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা, বাঙালি মুসলিম মহিলাদের মধ্যে প্রথম সনেট বুদ্ধ কবিতা লিখেছিলেন
- আমির-উল ইসলাম, আইনজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা
- বাঘা যতীন, অগ্নিযুগের প্রখ্যাত স্বদেশী নেতা
- ড: রাধা বিনোদ পাল, আইনজীবী ও আইন সম্পর্কিত গ্রন্থের রচয়িতা
- গগন হরকরা, প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ
- শাহ আজিজুর রহমান, বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রী
- হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনয় শিল্পী
- হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বাংলাদেশের ২৪ তম প্রধান বিচারপতি
- মাহবুবুল আলম হানিফ, রাজনীতিবিদ ও যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
- এম শমসের আলী, শিক্ষাবিদ ও গবেষক
- কাজী আরেফ আহামেদ, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রূপকার ও মুক্তিযুদ্ধের বিশিষ্ট সংগঠক
- মন্নথনাথ মুখোপাধ্যায়, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি
- শরিফ উদ্দিন আহমেদ, বীর উত্তম
- হাবিবুল বাশার সুমন, সাবেক অধিনায়ক বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল
- সালাউদ্দিন লাভলু, অভিনেতা ও চিত্রনাট্য পরিচালক
- মিজু আহমেদ, অভিনেতা
- আহমেদ শরীফ, অভিনেতা
- কচি খন্দকার, অভিনেতা ও চিত্রনাট্য পরিচালক
- সালমা আক্তার, সঙ্গীতশিল্পী
- কোরবান আলী, সাবেক খাদ্য প্রতিমন্ত্রী
- এনামুল হক বিজয়, ওপেনার বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল
- মোঃ মিঠুন, সদস্য বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল
- বন্যা মির্জা, অভিনেত্রী
- আজিজুর রহমান, কবি ও গীতিকার
- শফি মন্ডল, বাউল শিল্পী
- ফরিদা পারভীন, কন্ঠশিল্পী
- চমক হাসান, গণিতবিদ ও বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক
শেষ কথা
সুপ্রিয় পাঠক, আর.বি.আর ব্লগের এই আর্টিকেলে কুষ্টিয়া জেলার সকল তথ্য জানুন এবং কুষ্টিয়া জেলার অবস্থান ও আয়তন সহ কুষ্টিয়া জেলার সার্বিক সঠিক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। যেকোনো বিষয়ের সঠিক তথ্য সবার আগে জানতে আর.বি.আর ব্লগের গুগল নিউজে ফলো দিয়ে রাখুন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url