যশোর জেলার সকল তথ্য জানুন
রাজশাহী জেলা সম্পর্কে জানুনআসসালামু আলাইকুম, সুপ্রিয় পাঠক যশোর জেলার সকল তথ্য জানুন এবং যশোর জেলার অবস্থান ও আয়তন সম্পর্কে জানতে চাইলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
কেননা এই আর্টিকেলে যশোর জেলার সকল তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি যশোর নামকরণের ইতিহাস ও যশোর জেলার সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে। যশোর জেলার সকল তথ্য জানার জন্য এই আর্টিকেলটি পড়ুন।
সূচিপত্র: যশোর জেলার সকল তথ্য জানুন
যশোর নামকরণের ইতিহাস
যতদূর জানা যায় ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দের দিকে যশোর জেলা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। যশোর নামের উৎপত্তি ঘটেছে গৌড়ের ধন ও যশ হরণের মাধ্যমে। আরেকভাবে ফরাসি শব্দ যশর থেকে যশোর নামের উৎপত্তি হয়েছে। যশর শব্দের অর্থ সাঁকো বা ব্রীজ। কানিংহাম তার গ্রন্থে উল্লেখ করেছে যশোরে আসার সময় অনেক নদী-নালা, খাল-বিল পার হয়ে আসতে হয় যার কারণে সেই যশর শব্দ থেকে যশোর শব্দের উৎপত্তি।
আরো পড়ুন: রংপুর জেলা সম্পর্কে
আবার অন্য সূত্রে জানা যায় যে মহারাজ প্রতাপাদিত্যের পিতা বিক্রমাদিত্য সুলতানের অপরিমিত ধনরত্নের নৌকা ওই এলাকায় প্রেরণ করেন যার ফলে সেখানে বন জঙ্গলের আবৃত্ত এলাকার খ্যাতি ক্রমশ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠা হয় নতুন রাজ্যের এবং সেই রাজ্যের নামকরণ করা হয় যশোহর। কালক্রমে সেই নাম পরিবর্তিত হয়ে রূপান্তরিত হয় যশোর নামের। এবং তারপর যশোর কে একটি পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রথম স্মার্ট জেলা হলো যশোর।
যশোর জেলার অবস্থান ও আয়তন
বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল হল যশোর। যা খুলনা বিভাগের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হিসেবে পরিচিত। যশোর জেলার পূর্বে নড়াইল জেলা ও খুলনা জেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরে ঝিনাইদহ জেলা ও মাগুরা জেলা, দক্ষিণে সাতক্ষীরা জেলা ও খুলনা জেলা অবস্থিত।
যশোর জেলার গদখালি থেকে দেশের ৮০% ফুল সরবরাহ করা হয়ে থাকে। তার জন্য ফুলের রাজধানী বলা হয় যশোর জেলাকে। যশোর জেলার আয়তন হলো ২৬০৬.৯৪ বর্গ কিলোমিটার।
যশোর জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা
অনেক প্রাচীন আমল থেকেই যশোর জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক উন্নত। কেননা যশোর জেলার স্বাক্ষরতার হার প্রায় ৭৬%। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দের দিকে যশোর শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। দক্ষিণবঙ্গের সর্ববৃহৎ শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নামক আইটি প্রতিষ্ঠান যশোর জেলায় নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও যশোর জেলার সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
- যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- যশোর মেডিকেল কলেজ
- যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ
- বি.এ.এফ শাহীন কলেজ
- মাইকেল মধুসূদন সরকারি কলেজ
- যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
- গঙ্গানন্দপুর সরকারি কলেজ
- উপশহর মহিলা ডিগ্রী কলেজ
- যশোর সরকারি সিটি কলেজ
- চৌগাছা সরকারি কলেজ
- বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ সরকারি কলেজ
- মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়
যশোর জেলার অর্থনীতি
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা প্রতিষ্ঠান হলো শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক যা যশোর জেলা অর্থনীতিকে সবৃদ্ধ করতে ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি যশোর জেলার অর্থনীতিকে আরো বেগবান করছে মাছ চাষ। বিশেষ করে চিংড়ির রপ্তানিতে যশোর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অবদান রাখছে।
আরো পড়ুন: দিনাজপুর জেলা সম্পর্কে
দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর হলো বেনাপোল স্থলবন্দর যা যশোর জেলার শর্শা উপজেলায় অবস্থিত। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বেগবান করতে বেনাপোল স্থলবন্দরের কোন বিকল্প পথ নেই। যশোর জেলার প্রায় ৩০% মানুষের জীবিকার অন্যতম মাধ্যম হলো বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানির বাণিজ্য।
আবার যশোরের নওপাড়ায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন শিল্পকারখানা যাতে সাধারণ মানুষ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। আবার নৌ পথে আমদানি রপ্তানি হয়ে থাকে সেখানে। যা দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখে। বাংলাদেশের অধিকাংশ ফুল আসে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী থেকে। যার জন্য যশোর কে ফুলের রাজধানী বলা হয়।
যশোর জেলার উপজেলা সমূহ
বর্তমান সময়ে যশোর জেলায় ৮ টি উপজেলা রয়েছে।সেগুলো হলোঃ
- যশোর সদর উপজেলা
- শার্শা উপজেলা
- মনিরামপুর উপজেলা
- বাঘারপাড়া উপজেলা
- চৌগাছা উপজেলা
- কেশবপুর উপজেলা
- অভয়নগর উপজেলা
- ঝিকরগাছা উপজেলা
যশোর জেলার পৌরসভা সমূহ
বর্তমানে যশোর জেলায় ৭ টি পৌরসভা রয়েছে।সেগুলো হলোঃ
- যশোর পৌরসভা
- বেনাপোল পৌরসভা
- চৌগাছা পৌরসভা
- কেশবপুর পৌরসভা
- ঝিকরগাছা পৌরসভা
- মনিরামপুর পৌরসভা
- বাঘারপাড়া পৌরসভা
যশোর জেলার ইউনিয়ন পরিষদ সমূহ
বর্তমানে যশোর জেলার ৮ টি উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ ৯৩ টি। যেখান থেকে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত নানান সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকেন। তাছাড়াও যশোর জেলায় মৌজা রয়েছে ১,৩২৯ টি এবং গ্রাম রয়েছে ১,৪৭৭ টি। কোন উপজেলায় কয়টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে তা জানানো হলোঃ
- শার্শা ইউনিয়ন পরিষদ
- নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- উলাশী ইউনিয়ন পরিষদ
- বাগআচড়া ইউনিয়ন পরিষদ
- কায়বা ইউনিয়ন পরিষদ
- গোগা ইউনিয়ন পরিষদ
- পুটখালী ইউনিয়ন পরিষদ
- বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদ
- বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- লক্ষণপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- ডিহি ইউনিয়ন পরিষদ
- হরিহরনগর ইউনিয়ন পরিষদ
- হরিদাস কাটি ইউনিয়ন পরিষদ
- শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদ
- রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদ
- মশ্বিমনগর ইউনিয়ন পরিষদ
- মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- মনিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- ভোজগাতি ইউনিয়ন পরিষদ
- নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ
- ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- ঝাপা ইউনিয়ন পরিষদ
- চালুয়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদ
- খেদাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ
- খানপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- কাশিমনগর ইউনিয়ন পরিষদ
- কুলটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- রামনগর ইউনিয়ন পরিষদ
- দেয়ারা ইউনিয়ন পরিষদ
- বসুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ
- নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- চাচড়া ইউনিয়ন পরিষদ
- চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদ
- কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- উপশহর ইউনিয়ন পরিষদ
- আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- ইছালী ইউনিয়ন পরিষদ
- লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদ
- হৈবতপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- গৌরীঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ
- ফুলকা কাটি ইউনিয়ন পরিষদ
- পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদ
- বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন পরিষদ
- মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- সাগরদাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ
- ত্রিমোহনী ইউনিয়ন পরিষদ
- বাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদ
- শংকরপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- হাজিরবাগ ইউনিয়ন পরিষদ
- নির্বাসখোলা ইউনিয়ন পরিষদ
- নাভারন ইউনিয়ন পরিষদ
- ঝিকরগাছা ইউনিয়ন পরিষদ
- পানিসারা ইউনিয়ন পরিষদ
- গতখালী ইউনিয়ন পরিষদ
- শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- মাগুরা ইউনিয়ন পরিষদ
- গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- স্বরূপদাহ ইউনিয়ন পরিষদ
- হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- পাতিবিলা ইউনিয়ন পরিষদ
- জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- চৌগাছা ইউনিয়ন পরিষদ
- ধুলিয়ানী ইউনিয়ন পরিষদ
- সিংহঝুলি ইউনিয়ন পরিষদ
- পাশাপোল ইউনিয়ন পরিষদ
- ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদ
- জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- বাসুয়াড়ি ইউনিয়ন পরিষদ
- দরাজহাট ইউনিয়ন পরিষদ
- দোহাকুলা ইউনিয়ন পরিষদ
- ধলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ
- নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ
- বন্দবিলা ইউনিয়ন পরিষদ
- জহুরপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- প্রেমবাগ ইউনিয়ন পরিষদ
- সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদ
- চলিয়াশি ইউনিয়ন পরিষদ
- পায়রা ইউনিয়ন পরিষদ
- শ্রীধরপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ
- শুভরাড়া ইউনিয়ন পরিষদ
- সিদ্ধিপাশা ইউনিয়ন পরিষদ
যশোর জেলার দর্শনীয় স্থান
যশোর অনেক প্রাচীন একটা জনপদ। সময়ের কালক্রমে ছোট বড় অনেক নিদর্শন গড়ে তোলা হয়েছে যশোর জেলায়। যা কালের বিবর্তনে দাঁড়িয়ে রয়েছে এখনো। যা দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যশোর জেলায় আসে দর্শনার্থীরা। যশোর জেলার উল্লেখযোগ্য নিদর্শন গুলো হলোঃ
- হাজী মুহাম্মদ মহসিনের ইমামবাড়া
- চাচড়া শিবমন্দির
- ভরত রাজবাড়ী
- মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি
- শেখপুরা জামে মসজিদ
- নকশী কাঁথা গ্রাম পান্থপাড়া
- জামতলার রসগোল্লা
- জেস গার্ডেন পার্ক
- বেনাপোল স্থলবন্দর
- ভাসমান সেতু
- মির্জানগর হাম্মাম খানা
- গদাধরপুর বাওড়
- তুলাবিজ বর্ধন খামার
- দমদম পীরের ডিবি
- ঝাপা বাওড়
- ধীরাজ ভট্টাচার্যের বাড়ি
- ফুলের হাট গদখালি
- কালেক্টরেট পার্ক
- বিনোদিয়া পার্ক
- উপশহর পার্ক
- জেস গার্ডেন পার্ক
- যশোর আইটি পার্ক
- মির্জানগর নবাব বাড়ি
- তালখড়ি জমিদার বাড়ি
- জগদীশপুর তুলার ফার্ম
- এগারো শিবমন্দির
- শ্রীধরপুর জমিদার বাড়ি
- বাবা বৈদ্যনাথ ধাম মন্দির
যশোর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব
যশোর অত্যন্ত প্রাচীন জনপদ হওয়ায় অনেক নামিদামি মানুষের জন্ম হয়েছে যশোর জেলায়। যারা নিজেদের কর্মের মাধ্যমে দেশ ও দেশের বাহিরের সুনাম অর্জন করেছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
- মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বাঙালি কবি ও নাট্যকার
- কিরন চন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তি
- ফররুখ আহমদ, মুসলিম রেনেসাঁর কবি
- সরোজ দত্ত, রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী
- গোলাম মোস্তফা, মুসলিম রেনেসাঁর কবি
- আবুল হোসেন, কবি
- ডঃ মুহাম্মদ লুৎফর রহমান, সাহিত্যিক
- বাঘা যতীন, ভারতের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা
- ইলা মিত্র, কৃষক নেতা
- রাধাগোবিন্দ চন্দ্র, জ্যোতি-বিজ্ঞানী
- কোহিনুর আক্তার সুচন্দা, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
- ফরিদা আক্তার ববিতা, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
- গুলশান আরা চম্পা, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
- রিয়াজ আহমেদ, চলচ্চিত্র অভিনেতা
- শাবনূর, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
- শাহ মোহাম্মদ ফারুক, বিজ্ঞানী
- দীনেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শিশু সাহিত্যিক
- অবনীভূষণ চট্টোপাধ্যায়, গণিতজ্ঞ ও লেখক
- হাসিবুর রেজা কল্লোল, চলচ্চিত্র পরিচালক
- ইকবাল কাদির, প্রতিষ্ঠাতা গ্রামীণফোন কোম্পানি\
- রশিকলাল চক্রবর্তী, সাধক সঙ্গীতজ্ঞ
যশোর জেলার নদ-নদী
নদী মাতৃক এই বাংলাদেশের প্রায় সবখানে ছোট বড় অসংখ্য নদ-নদীর শাখা-প্রশাখা দেখতে পাওয়া যায়। যশোর জেলায় বাংলাদেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নদীর শাখা রয়েছে। সেগুলো হলোঃ
- ভৈরব নদী
- অপোতাক্ষ নদী
- বেতনা নদী
- চিত্রা নদী
- হরিহর নদী
- মজুদখালী নদী
- ঝাপা বাওড়
- ভবদহ বাওড়
- পদ্মবিল চাকলা
- কালিয়ানীর বিল
- বুকভরা বাওড়
- শার্শা কন্যাদাহের আশ্চর্য বাওড়
যশোর জেলায় অবস্থিত রেলওয়ে স্টেশন
সরকারি সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে। সাধারণ মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য রেলগাড়ি ব্যবহার করে থাকে। রেলগাড়িতে উঠা নামা করার জন্য রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবহার করা হয়। তার ধারাবাহিকতায় বর্তমানে যশোর জেলায় ১৪ টি রেলওয়ে স্টেশন যাত্রী সাধারণের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। সেগুলো হলোঃ
- সিঙ্গিয়া রেলওয়ে স্টেশন
- রুপদিয়া রেলওয়ে স্টেশন
- যশোর জংশন রেলওয়ে স্টেশন
- যশোর ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন
- মেহেরুল্লানগর রেলওয়ে স্টেশন
- বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন
- পদ্মবিলা রেলওয়ে স্টেশন
- নাভারন রেলওয়ে স্টেশন
- নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন
- ধোপাখোলা রেলওয়ে স্টেশন
- ঝিকরগাছা রেলওয়ে স্টেশন
- জামদিয়া রেলওয়ে স্টেশন
- চেঙ্গুটিয়া রেলওয়ে স্টেশন
- গদখালি রেলওয়ে স্টেশন
শেষ কথা
সুপ্রিয় পাঠক, আর.বি.আর ব্লগের এই আর্টিকেলে যশোর জেলার সকল তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। যেকোন বিষয়ের সঠিক তথ্য পেতে আর.বি.আর ব্লগের সাথেই থাকুন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url