সিলেট জেলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন

রাজশাহী জেলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুনআসসালামু আলাইকুম, সুপ্রিয় পাঠক সিলেট জেলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন ও সিলেট জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
সিলেট জেলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন
কেননা এই আর্টিকেলে সিলেট জেলার সকল তথ্য সহ সিলেট নামকরণের ইতিহাস, সিলেট জেলার অর্থনীতি ও সিলেটের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে সকল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি সিলেটের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে আর্টিকেলে।
সূচিপত্রঃ সিলেট জেলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন

উপস্থাপনা

সুপ্রিয় পাঠক, সিলেট জেলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন ও সিলেট জেলার দর্শনীয় স্থান সহ সিলেট জেলার সকল তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আমাদের এই আর্টিকেলে। আপনি সিলেটে যদি ভ্রমণ করেন তাহলে সিলেটের কোন কোন স্থান গুলো ঘুরে দেখতে পারবেন সেই সম্পর্কে সকল তথ্য শেয়ার করা হয়েছে আমাদের এই আর্টিকেলে। পাশাপাশি সিলেট জেলায় কোন কোন নদী রয়েছে ও সিলেট জেলার অর্থনীতি কিসের উপর নির্ভরশীল সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে আর্টিকেলে।

সিলেট নামকরণের ইতিহাস

ইতিহাস থেকে যতদূর জানা যায়, সনাতন ধর্ম (হিন্দু) অনুসারী শিবের 'স্ত্রী' সতী দেবীর কাটা হস্ত (হাত) ওই অঞ্চলে পড়েছিল এবং সেই সময় 'শ্রী হস্ত' হতে 'শ্রী হট্ট' নামের উৎপত্তি হয়েছিল বলে জানা যায়। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের দিকে এরিয়ানের লিখিত বিবরণীতে অঞ্চলের নাম 'সিরিওটা' বলে উল্লেখ করা হয়েছিল তাছাড়াও 'পেরিপ্লাস অফ দ্যা এরিথ্রিয়ান সী নামক' গ্রন্থে ওই অঞ্চলের নাম সিরটে এবং সিসটে এই দুই ভাবে লিখা হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকের দিকে।

৬৪০ খ্রিস্টাব্দের দিকে চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং ওই অঞ্চল ভ্রমণ করেছিল তখন তিনি তার ভ্রমণ কাহিনীতে ওই অঞ্চলের নাম দিয়ে ছিলো 'শিলিচতল'। আবার তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খলজি বঙ্গ বিজয়ের মধ্যে দিয়ে এদেশে মুসলিম সমাজ ব্যবস্থা চালু করলে সে সময়ের মুসলিম শাসকগণ তাদের দলিল পত্রে 'শ্রীহট্ট' নামের পরিবর্তে 'সিলহেট 'বা 'সিলাহেট' নাম উল্লেখ করেছিলেন আর তারপর থেকেই 'শ্রীহট্ট' থেকে এক সময় 'সিলেট' নামের উৎপত্তি হয়।
আবার অন্যভাবে জানা যায় যে, সিলেটে যখন হযরত শাহ জালাল আসেন তখন তার শত্রুপক্ষ তাকে সহ ৩৬০ জন আউলিয়াকে 'শিলা' (পাথর) দিয়ে আটকে দিয়েছিল। এবং মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে হযরত শাহ জালাল বলেন যে 'শিলাহাট' (পাথর সরে যা) সাথে সাথেই পাথরগুলো সরে যায় এবং সেই সময় থেকে ওই স্থানের নাম রাখা হয় 'শিলাহাট' যা সময়ের কালক্রমে সিলেট নামে পরিচিত লাভ করে সারা বিশ্বে।

সিলেট জেলার ইতিহাস

বাংলাদেশের উত্তর--পূর্বে অবস্থিত একটি প্রাচীন জনপদ হলো সিলেট। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত কারণে সিলেট জেলার সুনাম ছড়িয়ে রয়েছে সারা বিশ্বে পাশাপাশি বনজ, খনিজ ও মৎস্য সম্পদে ভরপুর জেলা হলো সিলেট। জৈন্তিয়া পাহাড়ের অপরূপ দৃশ্য এবং জাফলং এর চা বাগান পাশাপাশি জাফলং এর সাদা পাথরের ঝর্ণা যা দেখার জন্য দেশ ও বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা চলে সিলেটে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সিলেট জেলার রেকর্ড পরিমাণ মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিবাসন গ্রহণ করেছে যারা বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। সিলেট জেলায় প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদ আছে বলে তথ্য উঠে এসেছে যা দেশের সিংহভাগ গ্যাস চাহিদা পূরণ করে থাকে। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম.এ.জি ওসমানী সিলেট জেলার কৃতি সন্তান।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সিলেট জেলা কে ভেঙে ৪ টি জেলার সৃষ্টি করা হয়। ব্রিটিশ শাসনামলে সিলেট জেলার বিকাশ ঘটেছিল খুব দ্রুত আর সে সময় ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দের দিকে সিলেট পৌরসভা গঠন করা হয়। আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের একটি শাখার সাথে সিলেটের সংযোগ ঘটে ১৯১২-১৯১৫ সালের দিকে। পরবর্তী সময়ে ২০ শতকের প্রথমদিকে চা শিল্পের কারণে সিলেটের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সৌন্দর্যমন্ডিত শহরগুলোর মধ্যে সিলেট একটি অন্যতম জেলা শহর হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। বিশেষ করে সিলেট জেলার প্রবাসীদের জন্য সিলেটের সুনাম ছড়িয়ে রয়েছে সারা বিশ্বে। তাইতো সিলেট জেলাকে বাংলাদেশের লন্ডন হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

সিলেট জেলার অবস্থান ও আয়তন

বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সিলেট বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল হলো সিলেট জেলা। উপজেলার সংখ্যানুসারে সিলেট বাংলাদেশের 'এ' শ্রেণীভুক্ত জেলার আওতায় রয়েছে। সিলেট অত্যন্ত প্রাচীন একটা জনপদ সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে সারা বিশ্বের কাছে তার পরিচিতি রয়েছে। বিশেষ করে বনজ, খনিজ ও মৎস্য সম্পদে ভরপুর জায়গা হলো সিলেট।

সিলেট জেলার পূর্বে ভারতের আসাম, পশ্চিমে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলা ও হবিগঞ্জ জেলা, উত্তরে ভারতের মেঘালয় এবং দক্ষিণে বাংলাদেশের মৌলভী জেলা অবস্থিত। বর্তমান সময়ে সিলেটি জেলার মোট আয়তন হলো ৩,৪৫২.০৭ বর্গকিলোমিটার বা ১,৩৩২.০০ বর্গমাইল।

সিলেট জেলার অর্থনীতি

সিলেট জেলা মূলত প্রবাসী বহুল একটি জনপদ কারণ সিলেট অঞ্চলের মানুষ রেকর্ড পরিমাণে ইউরোপ সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থই মূলত সিলেটের প্রধান আয়ের উৎস হিসেবে মনে করা হয়। তাছাড়াও পাহাড়ি প্রান্তে গড়ে ওঠা চা বাগানে সিলেটের মানুষের কর্মসংস্থানের সুবিধা রয়েছে। তাছাড়াও বর্তমান সময়ে সিলেট জেলার বিভিন্ন জায়গায় কমলা, আনারস, লেবু, আম বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে।
তাছাড়াও অনেক আগে থেকেই সিলেট একটা পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিত। যার কারণে দেশ এবং দেশের বাইরের অনেক মানুষ ভ্রমণ করে থাকেন সিলেট অঞ্চলে আর তার মাধ্যমে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে সেই এলাকায় এবং তা সিলেট জেলার অর্থনীতিকে সজল রাখতে সাহায্য করে আসছে। তা ছাড়াও সিলেট জেলাতে সরকারিভাবে ২ টি বিসিক শিল্প নগরী গড়ে তোলা হয়েছে যেখানে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা হয়েছে। সে শিল্প নগরী গুলো হলো, 
  • গোটাটিকর শিল্প নগরী
  • খাদিম নগর শিল্প নগরী।

সিলেট জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা

অনেক আগে থেকেই শিক্ষার ক্ষেত্রে সিলেট বাংলাদেশের একটি অগ্রসর অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। সময়ের ব্যবধানে সরকারি-বেসরকারি নানান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে সিলেটকে কেন্দ্র করে। বর্তমান সময়ে কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থী সিলেট জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছে। বর্তমান সময়ে সিলেট জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে ১,৩৯২ টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৩১৬ টি, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৩৩ টি ও ২টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। সিলেট জেলার সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো,
  • শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
  • সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
  • বিয়ানি বাজার সরকারি কলেজ
  • এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ
  • সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
  • ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
  • সিলেট সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ
  • সিলেট সরকারি ইনস্টিটিউট অফ হেলথ টেকনোলজি
  • সিলেট সরকারি কলেজ
  • সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ
  • সিলেট আইডিয়াল কলেজ
  • সিলেট কমার্স কলেজ
  • সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ
  • দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজ
  • গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজ\
  • গোয়াল বাজার সরকারি মহিলা কলেজ
তাছাড়া বর্তমান সময়ে সিলেট জেলায় ৪ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ৫ টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। সেগুলো হলো, 
বিশ্ববিদ্যালয়
  • নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি
  • মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি
  • সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
  • লিডিং ইউনিভার্সিটি
মেডিকেল কলেজ
  • জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ
  • সিলেট মহিলা মেডিকেল কলেজ
  • নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ
  • দুররে সামাদ নারী মেডিকেল কলেজ
  • পার্ক ভিউ মেডিকেল কলেজ

সিলেট জেলার উপজেলা সমূহ

বর্তমান সময়ে সিলেট জেলাতে ১ টি সিটি কর্পোরেশন ও ১৩ টি উপজেলা রয়েছে।
সিটি কর্পোরেশনের নাম হলো সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
উপজেলা গুলো হলো,
  • সিলেট সদর উপজেলা
  • বিয়ানীবাজার উপজেলা
  • বিশ্বনাথ উপজেলা
  • বালাগঞ্জ উপজেলা
  • ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা
  • দক্ষিণ সুরমা উপজেলা
  • জৈন্তাপুর উপজেলা
  • গোয়াইনঘাট উপজেলা
  • জকিগঞ্জ উপজেলা
  • কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা
  • গোপালগঞ্জ উপজেলা
  • ওসমানীনগর উপজেলা
  • কানাইঘাট উপজেলা
বর্তমান সময়ে সিলেট জেলায় সংসদীয় আসন রয়েছে ৬ টি।

সিলেট জেলার পৌরসভা সমূহ

বর্তমান সময়ে সিলেট জেলায় পৌরসভা আছে ৫ টি।
সেগুলো হলো,
  • কানাইঘাট পৌরসভা
  • গোপালগঞ্জ পৌরসভা
  • জকিগঞ্জ পৌরসভা
  • বিশ্বনাথ পৌরসভা
  • বিয়ানীবাজার পৌরসভা

সিলেট জেলার ইউনিয়ন পরিষদ সমূহ

বর্তমান সময়ে সিলেট জেলার ১৩ টি উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ১০৬ টি। যেখান থেকে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত নানান সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকেন। তাছাড়াও সিলেট জেলায় মৌজা রয়েছে ১,৬৯৩ টি এবং গ্রাম রয়েছে ৩,৪৯৭টি। কোন উপজেলায় কয়টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে তা নিচে জানানো হলো,
সিলেট সদর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ৮ টি
সেগুলো হলো,
  • কান্দিগাও ইউনিয়ন পরিষদ
  • মোগলগাও ইউনিয়ন পরিষদ
  • টুকেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদ
  • টুলটিকর ইউনিয়ন পরিষদ
  • খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ
  • খাদিমনগর ইউনিয়ন পরিষদ
  • হাটখোলা ইউনিয়ন পরিষদ
  • জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ
বালাগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ৬ টি
সেগুলো হলো,
  • বালাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ
  • পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ
  • পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ
  • দেওয়ান বাজার ইউনিয়ন পরিষদ
  • বোয়ালজুড় ইউনিয়ন পরিষদ
  • পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদ
বিয়ানীবাজার উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ১০ টি
সেগুলো হলো,
  • লাউতা ইউনিয়ন পরিষদ
  • মুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ
  • মুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদ
  • তিলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ
  • মাথিউরা ইউনিয়ন পরিষদ
  • কুড়ার বাজার ইউনিয়ন পরিষদ
  • শেওলা ইউনিয়ন পরিষদ
  • দুবাগ ইউনিয়ন পরিষদ
  • চারখাই ইউনিয়ন পরিষদ
  • আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদ
বিশ্বনাথ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ৮ টি
সেগুলো হলো,
  • দশঘর ইউনিয়ন পরিষদ
  • দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদ
  • বিশ্বনাথ ইউনিয়ন পরিষদ
  • দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ
  • রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদ
  • অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদ
  • খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদ
  • লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদ
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ৬ টি
সেগুলো হলো,
  • দক্ষিণ রণিখায় ইউনিয়ন পরিষদ
  • উত্তর রণিখায় ইউনিয়ন পরিষদ
  • ইসাকলস ইউনিয়ন পরিষদ
  • তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদ
  • ইসলামপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ
  • ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ৫ টি
সেগুলো হলো,
  • ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ
  • উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ
  • উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়ন পরিষদ
  • ঘিলাছড়া ইউনিয়ন পরিষদ
  • মাইজগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ
গোপালগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ১১ টি
সেগুলো হলো,
  • গোপালগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ
  • শরীফগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ
  • উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়ন পরিষদ
  • পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়ন পরিষদ
  • ভাদেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ
  • লক্ষনাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ
  • ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ
  • বুধবারি বাজার ইউনিয়ন পরিষদ
  • লক্ষীপাশা ইউনিয়ন পরিষদ
  • ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ
  • বাঘা ইউনিয়ন পরিষদ
গোয়াইনঘাট উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ৯ টি
সেগুলো হলো,
  • ডৌবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ
  • তোয়াকুল ইউনিয়ন পরিষদ
  • নন্দীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ
  • ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ
  • পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ
  • লেঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদ
  • পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন পরিষদ
  • পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন পরিষদ
  • রুস্তমপুর ইউনিয়ন পরিষদ
জৈন্তাপুর উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ৬ টি
সেগুলো হলো,
  • জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদ
  • চিকনাগুল ইউনিয়ন পরিষদ
  • ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ
  • দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদ
  • চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ
  • নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদ
কানাইঘাট উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ৯ টি
সেগুলো হলো,
  • কানাইঘাট ইউনিয়ন পরিষদ
  • রাজাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ
  • জিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ
  • দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ
  • বড়চতুল ইউনিয়ন পরিষদ
  • সাতবাক ইউনিয়ন পরিষদ
  • দিঘীরপার ইউনিয়ন পরিষদ
  • লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ
  • লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ
জকিগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ৯ টি
সেগুলো হলো,
  • জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ
  • মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ
  • কসকনকপুর ইউনিয়ন পরিষদ
  • সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদ
  • বারঠাকুরি ইউনিয়ন পরিষদ
  • খলাছড়া ইউনিয়ন পরিষদ
  • কাজলসার ইউনিয়ন পরিষদ
  • বীরশ্রী ইউনিয়ন পরিষদ
  • বারহাল ইউনিয়ন পরিষদ
দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ১০ টি
সেগুলো হলো,
  • কামাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদ
  • দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ
  • মোগলা বাজার ইউনিয়ন পরিষদ
  • জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ
  • লালবাজার ইউনিয়ন পরিষদ
  • সিলাম ইউনিয়ন পরিষদ
  • কুচাই ইউনিয়ন পরিষদ
  • তেতলী ইউনিয়ন পরিষদ
  • বরইকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ
  • মোল্লারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ
ওসমানীনগর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে ৮ টি
সেগুলো হলো,
  • দয়ামীর ইউনিয়ন পরিষদ
  • ওসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদ
  • সাদীপুর ইউনিয়ন পরিষদ
  • গোয়াল বাজার ইউনিয়ন পরিষদ
  • বুরুঙ্গা বাজার ইউনিয়ন পরিষদ
  • পশ্চিম পৈলানপুর ইউনিয়ন পরিষদ
  • তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ
  • উমরপুর ইউনিয়ন পরিষদ

সিলেটে জেলার নদ-নদী

নদীমাতৃক আমাদের এই বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় বিভিন্ন নদীর শাখা-প্রশাখা দেখা যায়।তার ধারাবাহিকতায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় অনেক নদীর শাখা-প্রশাখা রয়েছে যা সিলেটের সৌন্দর্যেকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলেছে। সিলেটের কোন উপজেলা দিয়ে কোন কোন প্রবাহিত হয়েছে তা নিচে জানানো হলো,
গোয়াইনঘাট উপজেলা দিয়ে ৬ নদী প্রবাহিত হয়েছে
সেগুলো হলো,
  • গোয়াইন নদী
  • ডাকসা নদী
  • কাপনা নদী
  • পুরকচি নদী
  • সারি নদী
  • পিয়াইন নদী
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা দিয়ে ৪ নদী প্রবাহিত হয়েছে
  • সেগুলো হলো
  • বেটুয়া নদী
  • বড়রাখা নদী
  • বাসিয়া নদী
  • সুরমা নদী
সিলেট সদর উপজেলা দিয়ে ১ টি নদী প্রবাহিত হয়েছে
সেগুলো হলো,
  • সুরমা নদী
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা দিয়ে ২ টি নদী প্রবাহিত হয়েছে
সেগুলো হলো,
  • কুশিয়ারা নদী
  • জুরী নদী
বিয়ানীবাজার উপজেলা দিয়ে ২ টির নদী প্রবাহিত হয়েছে
সেগুলো হলো,
  • সোনাই নদী
  • কুশিয়ারা নদী
জকিগঞ্জ উপজেলা দিয়ে ২ টি নদী প্রবাহিত হয়েছে
সেগুলো হলো,
  • কুশিয়ারা নদী
  • সুরমা নদী
জৈন্তাপুর উপজেলা দিয়ে ৬ টি নদী প্রবাহিত হয়েছে
সেগুলো হলো,
  • সারি নদী
  • মরাকাপনা নদী
  • কাটা নদী
  • ক্ষেপা নদী
  • ধামাই নদী
  • বড়গাং নদী
বালাগঞ্জ উপজেলা দিয়ে ২ টি নদী প্রবাহিত হয়েছে
সেগুলো হলো,
  • কুশিয়ারা নদী
  • বড়ডারগা নদী
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা দিয়ে ২ টি নদ প্রবাহিত হয়েছে
সেগুলো হলো,
  • পিয়াইন নদী
  • ধলাই নদী
কানাইঘাট উপজেলা দিয়ে ১ টি নদী প্রবাহিত হয়েছে
সেগুলো হলো,
  • সুরমা নদী
বিশ্বনাথ উপজেলা দিয়ে ৭ টি নদী প্রবাহিত হয়েছে
সেগুলো হলো,
  • হাটখোলা নদী
  • ব্রাক্ষণা নদী
  • কাপনা নদী
  • মাকুন্দ নদী
  • বাজাসিং নদী
  • বাসিয়া নদী
  • সুরমা নদী
গোপালগঞ্জ উপজেলা দিয়ে ৩ টি নদী প্রবাহিত হয়েছে
সেগুলো হলো,
  • কুড়া নদী
  • কুশিয়ারা নদী
  • সুরমা নদী
ওসমানীনগর উপজেলা দিয়ে ১ টি নদী প্রবাহিত হয়েছে
সেগুলো হলো,
  • কুশিয়ারা নদী

সিলেট জেলার দর্শনীয় স্থান

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমির জায়গা হলো সিলেট যাকে বাংলাদেশের লন্ডন বলে ডাকা হয়ে থাকে। হযরত শাহজালাল এবং শাহ পরানের পবিত্র মাজার শরীফ সিলেটে জেলায় অবস্থিত। তাছাড়া ও সিলেট জেলার পাহাড়, চা বাগান এবং জাফলং এর সৌন্দর্য দেখার জন্য দেশি-বিদেশি নানা পর্যটক প্রতিনিয়ত সিলেটে জেলায় ভ্রমণ করে থাকেন। প্রাচীন আমল থেকেই সিলেট জেলায় অনেক নিদর্শন গড়ে উঠেছিল যা বর্তমান সময়ে সিলেট জেলার সৌন্দর্য বহন করে রেখেছে। সিলেট জেলার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান হলো,
  • হযরত শাহজালাল ও হযরত শাহ পরানের মাজার শরীফ
  • তামাবিল
  • লালাখাল
  • মহাপ্রভু শ্রী চৈত্যনো দেবের বাড়ি
  • হাছন রাজার মিউজিয়াম
  • মালনি ছড়া চা বাগান
  • ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
  • ড্রিমল্যান্ড পার্ক
  • হাকালুকি হাওর
  • আলী আজমদের বাড়ি
  • জিতু মিয়ার বাড়ি
  • মনিপুরী মিউজিয়াম
  • শহী ঈদগাহ
  • উসমানী শিশু পার্ক
  • মাধবকুণ্ডু জলপ্রপাত
  • টাঙ্গুয়ার হাওর
  • হাম হাম জলপ্রপাত
  • কৈলাশটিলা
  • পরিকুন্ডু জলপ্রপাত
  • সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান
  • বরাক নদীর তিন মোহনা

সিলেট জেলার উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব

সময়ের ব্যবধানে অনেক জ্ঞানীগুণী মানুষের জন্ম হয়েছে সিলেট জেলায়। যারা নিজেদের কর্মের মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো,
  • জেনারেল এম.এ.জি ওসমানী, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক
  • হাছন রাজা, বিখ্যাত কবি ও সাধক
  • গোবিন্দ চন্দ্র দেব, দার্শনিক
  • শামসুল উলামা আবু নসর ওহিদ, শিক্ষাবিদ
  • হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার
  • ডঃ ত্রিগুনা সেন, শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ
  • অশোক বিজয় রাহা, আধুনিক কবি
  • রাধারমন দত্ত, কবি
  • সুফি শীতালং শাহ, কবি
  • এ.এইচ.এম এনায়েত হোসেন, সুনামধন্য বাংলাদেশী চিকিৎসক
  • গুরুসদয় দত্ত, ব্রতচারী আন্দোলনের জনক
  • নবাব আলী আমজাদ, জমিদার
  • স্বামী নিখিলানন্দ, হিন্দু ধর্মগুরু
  • যতীন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য, সাহিত্য গবেষক
  • এম সাইফুর রহমান, সাবেক অর্থমন্ত্রী
  • আবুল মাল আব্দুল মুহিত, সাবেক অর্থমন্ত্রী
  • নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী
  • মাওলানা ওবায়দুল হক, বাংলাদেশ জাতীয় মসজিদের সাবেক খতিব
  • দিলওয়ার, গণমানুষের কবি
  • মাহবুব আলী খান, সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক ও নৌবাহিনী প্রধান
  • আলতাফ হোসেন, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক
  • সালমান শাহ, অভিনেতা
  • ভূদেব চৌধুরী, ইতিহাসবিদ ও সাহিত্যিক
  • সুজেয় শ্যাম, সংগীত পরিচালক
  • হেনা দাস, বিপ্লবী নারীনেত্রী
  • ব্রিগেটার ডঃ আব্দুল মালিক, জাতীয় অধ্যাপক
  • ডঃ জামিলুর রেজা চৌধুরী, জাতীয় অধ্যাপক ও প্রকৌশলী
  • ডঃ শায়লা খাতুন, জাতীয় অধ্যাপক
  • আবুল কালাম আব্দুল মোমেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী
  • আব্দুল মতিন চৌধুরী, পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ
  • রুনা লায়লা, বিখ্যাত কন্ঠ শিল্পী
  • রানী হামিদ, নারী দাবাড়ু
  • হারুন আহমেদ চৌধুরী, বীর উত্তম
  • মোহাম্মদ নুরুল হক, সাহিত্য সেবক
  • খলিলুল্লাহ খান, অভিনেতা
  • বিদিত লাল দাস, গীতিকার ও সুরকার
  • সাকুর মজিদ, সাহিত্যিক ও নাট্যকার
  • ইমরান আহমেদ, সাবেক প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী
  • সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, সাবেক প্রধান বিচারপতি
  • বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র
  • আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র
  • শরচচন্দ্র চৌধুরী, মহাকবি
  • আব্দুল গাফফার চৌধুরী, কবি
  • শফিকুল হক হিরা, সাবেক ক্রিকেটার

শেষ কথা

সুপ্রিয় পাঠক, আর.বি.আর ব্লগের এই আর্টিকেলে সিলেট জেলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন ও সিলেট জেলার দর্শনীয় স্থান সহ সিলেটের সকল তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। যেকোনো বিষয়ের সঠিক তথ্য সবার আগে জানতে আর.বি.আর ব্লগের গুগল নিউজে ফলো দিয়ে রাখুন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url