ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায় - পানি খেয়ে ওজন কমানোর উপায়

দাঁতের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় জানুনসুপ্রিয় পাঠক, ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায় - পানি খেয়ে ওজন কমানোর উপায় এবং দারুচিনি দিয়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায় - পানি খেয়ে ওজন কমানোর উপায়
কোন কোন উপায়ে অবলম্বন করে ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে পারেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছে এই আর্টিকেলে। পাশাপাশি ঘুমিয়ে ওজন কমানোর উপায় ও লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় সহ ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যারা দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান তারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
সূচিপত্রঃ ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায় - পানি খেয়ে ওজন কমানোর উপায়

দারুচিনি দিয়ে ওজন কমানোর উপায়

বর্তমান সময়ে খাবারের মসলা হিসেবে দারুচিনির ব্যবহার করে থাকে সকল মানুষ। কিন্তু দারুচিনির মাধ্যমে যে দেহের ওজন কমানো যায় সেই সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই না জানা। দারুচিনিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনলের মত অনেক উপাদান যা মানুষের রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে।

পাশাপাশি পানি এবং দারুচিনি একসাথে মিশিয়ে নিয়মিত সেবন করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। সে কারণে যাদের অতিরিক্ত ওজন রয়েছে তারা চাইলে দারুচিনি খেয়ে ওজন কমাতে পারে কারণ দারুচিনির কিছু বিশেষ উপাদান রয়েছে যা আমাদের ক্ষুধা নিবারণে কাজ করে থাকে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক দারুচিনি দিয়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে,
  • পানি এবং দারুচিনি
যারা শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে ভাবেন তারা চাইলে নিয়মিত পানি এবং দারুচিনি একসাথে মিশিয়ে সেবন করতে পারেন। তার জন্য প্রথমে এক গ্লাস পানি হালকা গরম করে নিন এবং তার মধ্যে সামান্য পরিমাণের দারুচিনির গুড়া মিশিয়ে সেবন করুন দিনে দুই থেকে তিনবার।
  • ফলের রস ও দারুচিনি
দারুচিনির স্বাদ হালকা তিক্ত হয় যার কারণে আপনি চাইলে ফলের রসের সাথে দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে সেবন করতে পারেন। তাতে করে ফলের রসের স্বাদ বেড়ে যাবে এবং শরীরের অতিরিক্ত ওজন দ্রুত কমতে শুরু করবে।
  • কফি এবং দারুচিনি
শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য আমরা কফির সাথে দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারে। কফি এবং দারুচিনির গুঁড়া নিয়মিত খাওয়ার ফলে শরীরের ক্ষুধা নিবারণ হয় যার ফলে শরীরের বাড়তি ওজন কমতে শুরু করে।
  • লেবু, মধু এবং দারুচিনি
যারা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন তারা চাইলে লেবুর রস কয়েক ফোটা মধু এবং দারুচিনির গুড়া একসাথে মিশিয়ে হালকা গরম পানি দিয়ে চা তৈরি করে খেতে পারে যার স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক উপকারী এবং শরীরের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ দূর করতে অধিক কার্যকরী। সেজন্য যারা দারুচিনি দিয়ে ওজন কমানোর উপায় খুঁজছেন তারা নিয়মিত লেবু, মধু এবং দারুচিনি একসাথে খেতে পারেন।
  • অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এবং দারুচিনি
শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এবং দারুচিনি দিয়ে শরবত তৈরি করে খেতে পারে। তার জন্য প্রথমে সামান্য পরিমাণে দারুচিনির গুড়া হালকা একটু পানিতে দিয়ে গরম করে নিতে হবে তারপর সেটাতে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে দিতে হবে যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটা উপাদান। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এবং দারুচিনি নিয়মিত খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত ওজন কমার পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়

শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যারা দুশ্চিন্তা করছেন তারা চাইলে নিয়মিত লেবু ব্যবহার করতে পারেন। কারণ লেবুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে কাজ করে থাকে। পাশাপাশি লেবুতে রয়েছে ভিটামিন-সি যা মানুষের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।

আপনি যদি প্রতিদিন লেবুর সাথে কয়েকটা খাদ্যদ্রব্য মিস করে সেবন করেন তাহলে সেটা আপনার দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকবে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে,
  • পানি, মধু এবং লেবু
শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পর এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানির সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে খেলে শরীরের ওজন কমতে থাকবে। আবার আপনি চাইলে মধু, গরম পানি এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারে তাতে করে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে ও বিভিন্ন সংক্রামণ থেকে শরীর নিরাপদে থাকবে।
  • পানি এবং লেবু
মানুষের শরীরের ওজন কমাতে কাজ করে হাইড্রেশন যা লেবু এবং পানি একসাথে মিশিয়ে খাওয়ার ফলে পাওয়া যায়। সে কারণে দেহের ওজন কমাতে প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় কয়েক ফোটা লেবুর রস পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন তাতে করে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি দূর করা সম্ভব হবে। তবে লেবু এবং পানির সাথে কখনোই মিষ্টি জাতীয় কোন কিছু মেশাবেন না।
  • লেবু এবং পানি শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে
লেবু এবং পানি নিয়মিত খাওয়ার ফলে মানুষের দেহের বিপাক প্রক্রিয়া কয়েকগুণ বেড়ে যায় যার ফলে দেহের অতিরিক্ত ওজন কমতে শুরু করে। তাছাড়াও দেহ সুস্থ রাখতে পানির প্রয়োজন সবচাইতে বেশি সে কারণে লেবু এবং পানি একসাথে খাওয়ার ফলে খাদ্য হজম হওয়া থেকে শুরু করে শরীরের যে কোন সংক্রমণ দূর করা খুবই সহজ ব্যাপার।
  • খাওয়ার পূর্বে লেবু এবং পানি খাওয়ার উপকারিতা
খাওয়ার পূর্বে লেবু এবং পানি একসাথে মিশিয়ে খাওয়ার ফলে দেহে খাদ্যের চাহিদা অনেকটা কমে আসে কারণ লেবু এবং পানি দেহের ক্ষুধা নিবারনে কাজ করে থাকে। সে কারণে খাওয়ার পূর্বে পানি খেলে তা দেহের ১৫ শতাংশ পরিমাণে কম ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করাতে পারে যার ফলে অতিরিক্ত ওজন বাড়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না।

পানি খেয়ে ওজন কমানোর উপায়

আমাদের অনেকেরই হয়তো জানা নেই পানি খেয়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে। তার জন্য প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পর খালি পেটে পানি পান করলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমার পাশাপাশি অনেক সংক্রমনের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কারণ মানুষের দেহ সুস্থ রাখার জন্য পানির প্রয়োজন সবচাইতে বেশি সে কারণে আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কমপক্ষে ৫০০ এম.এল পানি পান করেন তবে আপনার দেহের পাকস্থলী সুস্থ থাকার পাশাপাশি বদহজম এবং গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর হবে।
এবং খালি পেটে পানি খাওয়ার ফলে শরীরের ক্ষুধা অনেকটা নিবারণ হয় যার জন্য অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না আর সে কারণেই শরীরের বাড়তি ওজন ঝরে যায়। সকালে পানি খাওয়ার ফলে দেহের বিপাক প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয় এবং দেহের ভারসাম্য বজায় থাকে। তো চলুন এবার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক পানি খেয়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে,
  • পানি মানুষের দেহের ক্ষুধা নিবারণে কাজ করে থাকে সে কারণে খাবার গ্রহণের ৩০ মিনিট পূর্বে পানি পান করুন যার ফলে অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে না পাশাপাশি দেহের বাড়তি ওজন ঝরে পড়বে।
  • বিশেষ করে রাতের এবং দুপুরের ভারি খাবার খাওয়ার পূর্বে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে শরীরের বাড়তি ওজন কমে আসবে।
  • শরীরের বাড়তি ওজন কমানোর জন্য কোন রকমের ক্যালোরি সমৃদ্ধ পানি পান করা যাবে না। বিশেষ করে চিনি মেশানো পানি অথবা কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • শারীরিক ব্যায়াম ও খেলাধুলা করার পূর্বে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন তাতে করে শরীরের আর্দ্রতা ভালো থাকবে এবং শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
  • শরীরের ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত ১২-১৫ ক্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি মলমূত্র চেপে রাখা থেকে বিরত থাকুন।
  • যাদের শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে ঘেমে পড়ে তারা বেশি করে পানি পান করুন তার ফলে দেহের অতিরিক্ত ওজন কমে আসবে।
  • প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পর ফ্রেস হয়ে খালি পেটে পানি পান করুন এবং তার ৩০ মিনিট পর খাবার খান। তাতে করে আপনার দেহের খাদ্যের চাহিদা কমে আসবে এবং অতিরিক্ত ওজন ঝরে পড়বে।

ঘুমিয়ে ওজন কমানোর উপায়

মানুষের শরীরের বাড়তি ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন মানুষ অনেক ধরনের খাবারের ডায়েট চার্ট ফলো করে থাকে আবার অনেকে ব্যায়াম করার মাধ্যমে ওজন কমানোর চেষ্টা করে। কিন্তু অনেকেই জানিনা যে ঘুমানোর মাধ্যমে দেহের বাড়তি ওজন কমানো সম্ভব তবে সেই ঘুম কিছুটা নিয়ম মেনে ঘুমাতে হবে তবেই দেহের অতিরিক্ত ওজন কমবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘুমিয়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে,
  • খাবার খাওয়ার পর ঘুমানো
খাবার গ্রহণের পর কখনোই ঘুমানো উচিত নয় কেননা খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়লে দেহের হজম প্রক্রিয়াই ব্যাহত ঘটতে পারে এবং বিপাক প্রক্রিয়াকে ধীরগতি করে ফেলে যা আমাদের দেহের বাড়তি ওজনের সৃষ্টি করে। সে কারণে যারা অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান তারা খাবার গ্রহণের কয়েক ঘন্টা পর ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

বিশেষ করে অতিরিক্ত ওজন কমাতে খাদ্য গ্রহণের পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন তাতে দেহের মেটাবলিজম বেড়ে যাবে যা অতিরিক্ত ওজন কমতে সাহায্য করে।
  • গ্রিন-টি পান করে ঘুমানো
মানুষের শরীরের অতিরিক্ত ওজন দূর করতে গ্রীন-টি বিশেষ ভূমিকা পালন করে কারণ গ্রিন-টি তে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড যা দেহের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করতে কাজ করে থাকে। সে কারণেই অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যারা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা নিয়মিত ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে গ্রিন টি পান করতে পারেন।
  • ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত খাবার না খাওয়া
শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইলে ভারী খাদ্য গ্রহণের কমপক্ষে ৪ ঘণ্টা পর ঘুমানোর অভ্যাস করুন। কেননা ভারী খাবার খাওয়ার পর তাড়াতাড়ি ঘুমানোর ফলে শরীরে থাকা শর্করা এবং চর্বি অনেক বেড়ে যায় যার ফলে দেহে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি হয়। সে কারণে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কখনোই ভারী খাবার গ্রহণ করবেন না তবে প্রয়োজনে পানি খেতে পারেন।
  • দুপুরে ঘুমানোর মাধ্যমে
অনেক মানুষ আছে যারা দুপুরে ঘুমিয়ে থাকেন। তবে অতিরিক্ত ওজন যাদের রয়েছে তারা দুপুরে কম সময় ঘুমাবেন কেননা অতিরিক্ত সময় ঘুমালে দেহের খাদ্য হজমের কাজে ব্যাহত ঘটতে পারে যার ফলে দেহের ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • রাতে অন্ধকার রুমে ঘুমানো
আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা রাতে ঘুমানোর সময় ঘরে আলো জ্বালিয়ে রাখে যা অতিরিক্ত ওজন বাড়ার একটি বিশেষ কারণ। সে কারণে আপনি যদি দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান তাহলে অবশ্যই অন্ধকার রুমে ঘুমানোর চেষ্টা করুন প্রয়োজনে স্লিপিং মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
  • রাতে কম্বল ছাড়া ঘুমানো
রাতের বেলা কম তাপমাত্রায় ঘুমানোর চেষ্টা করুন তাতে করে শরীরের বিপাকক্রিয়া বেড়ে যাবে এবং শরীরে বেশি ক্যালরি কমে আসবে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে কম তাপমাত্রায় ঘুমালে দেহে বাদামি চর্বির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায় যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং দেহের অতিরিক্ত ওজন ঝরে পড়ে।

ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায়

দেহের অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য আপনারা চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন কারণ কিছু কিছু খাদ্য উপাদান রয়েছে যেগুলো নিয়ম অনুযায়ী খাওয়ার ফলে ঘরে বসেই দেহের অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব। শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সর্বপ্রথম আপনাকে ক্যালরিযুক্ত এবং কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে, পাশাপাশি শাক-সবজি ও ফলমূল এবং পানি একটু বেশি খেতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য,
  • মধু, লেবু এবং দারুচিনি
শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন সকালে এবং রাতে দারুচিনির গুড়ার সাথে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খেলে দেহের অতিরিক্ত ওজন কমার পাশাপাশি হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকবে।
  • দারুচিনির গুড়া
শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য হালকা গরম পানির সাথে দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে দারুচিনির গুড়া একটু নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে অন্যথায় বদ হজমের সমস্যা হতে পারে। তবে আপনি চাইলে ফলের রসের সাথে দারুচিনির গুড়া মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • ডালের ছাতু
ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে অন্যতম কার্যকরী উপাদান হলো ডালের ছাতু নিয়মিত খাওয়া। তার জন্য আপনাকে ডাল গুড়ো করে ছাতু তৈরি করতে হবে কারণ ছাতুতে ক্যালরি এবং ফাইবার খুবই কম পরিমাণে রয়েছে। সে কারণে ছাতু খাওয়ার ফলে দীর্ঘ সময় ভারী খাদ্য গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে না ও দেহের অতিরিক্ত ওজন বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
  • জিরা
দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সন্ধ্যা রাতে জিরা ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খালি পেটে সেই পানি পান করতে হবে তাহলে দেহের হজম প্রক্রিয়া ঠিক করার পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজন কমে যাবে।
  • জোয়ান
ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে আরো একটি অন্যতম কার্যকরী উপাদান হলো জোয়ান। প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠার পর খালি পেটে জোয়ান চিবিয়ে খাওয়া যায় তাহলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি তাড়াতাড়ি গলে যাবে এবং ওজন দ্রুত কমে আসবে। পাশাপাশি শরীরের ব্যথা দূর করতে জোয়ান খেতে পারেন।
  • লেবু ও মধু
শরীরের ওজন কমাতে লেবুর রস ও মধু একসাথে মিশিয়ে খেলে দ্রুত শরীরে ওজন কমে আসবে। পাশাপাশি ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে লেবু ও মধু খেতে পারেন।
  • পানি ও লেবু
মানুষের জীবনধারণের জন্য পানি পান করা অত্যন্ত জরুরী। কেননা শরীরের পানির ঘাটতি দেখা দিলে যেকোনো ধরনের রোগব্যাধি আক্রমণ করার সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণে পানি বেশি পরিমাণে খেলে শরীরের ওজন কমে আসবে এবং ত্বকের সৌন্দর্য কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে। তবে আপনারা চাইলে পানি এবং লেবুর রস মিস করে খেতে পারে তাতে করে দেহের ওজন কমার পাশাপাশি হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

আবার ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায় এর রকমের পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো অবলম্বন করে আপনারা নিজেদের দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে পারবেন। বিশেষ করে দেহের ওজন কমাতে কম ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন পাশাপাশি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পর মর্নিং ওয়ার্ক বা একটু হাটাহাটি করার চেষ্টা করুন।

প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন, নিয়মিত শরীর চর্চা করুন ও খেলাধুলা করুন। পাশাপাশি ভারী খাবার গ্রহণের পূর্বে বেশি করে পানি পান করুন ও দেহের চাহিদা অনুযায়ী খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। টাটকা শাক-সবজি এবং আঁশ জাতীয় খাদ্য বেশি বেশি গ্রহণ করুন।

শেষ কথা

আর.বি.আর ব্লগের এই আর্টিকেলে ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায় - পানি খেয়ে ওজন কমানোর উপায় এবং দারুচিনি দিয়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। যেকোন বিষয়ের আপডেট তথ্য সবার আগে জানতে আর.বি.আর ব্লগের গুগল নিউজে ফলো দিয়ে রাখুন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url