রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্য

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানুনআসসালামু আলাইকুম, সুপ্রিয় পাঠক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্য এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে আপনি অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্য
কেননা আমরা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কিছু তথ্য আপনাকে জানাতে চলেছি। আমাদের আর্টিকেল থেকে আপনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত তথ্য পাবেন। তার জন্য আপনাকে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইলো।
সূচিপত্রঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্য

উপস্থাপনা

আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতীক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-সুবিধা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন ব্যবস্থা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল সমূহ সহ সকল তথ্য।

তাই আপনি যদি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আমাদের এই আর্টিকেল থেকে আপনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত তথ্য পাবেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। যা রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলায় অবস্থিত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় একটি সরকারি স্বায়ত্বশাসিত গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একমাত্র স্বয়ংসম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় ও ডিজিটাল ক্যাম্পাস বিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়।
বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৬ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ খ্যাত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় টি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ও ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস

ব্রিটিশ শাসনামলে রাজশাহী অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করার লক্ষ্যে ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় রাজশাহী কলেজ। আর সে সময়ে রাজশাহী কলেজে আইন বিভাগ সহ পোস্ট গ্রাজুয়েট শ্রেণী চালু করা হয়। কিন্তু তার কিছুদিন পরেই বন্ধ হয় এসব কার্যক্রম। আর ঠিক তখন রাজশাহীতে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হওয়ার পর পাকিস্তান সরকার দেশের সব কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করে।

এবং সে সময় স্যাডলার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে আন্দোলন শুরু করা হয়। ভাষা আন্দোলনের পূর্বেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু হয়েছিল। ১৯৫০ সালের ১৫ নভেম্বর রাজশাহীর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে ৬৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য ১৯৫২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী শহরের ভুবনমোহন পার্কে প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরবর্তীতে ১৩ ফেব্রুয়ারি ভুবনমোহন পার্কে একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয় তার সভাপতিত্ব করেন আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ এমএলএ। তার পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানাতে গিয়ে ১৫ জন ছাত্রনেতা কারা রুদ্ধ হন। তার পরবর্তী আন্দোলনের সময় মাদার বাখশ বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি বলেন রাজশাহীতে যদি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা না হয় তবে পুরো উত্তরবঙ্গকে স্বতন্ত্র প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে।

আর মাদার বখশ যখনই বক্তব্য দিয়েছিলেন তারপরেই সরকারের টনক নড়ে গিয়েছিল। অবশেষে ১৯৫৩ সালের ৩১ মার্চ প্রাদেশিক আইনসভা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার আইন পাস করা হয়। তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর ইতরাত হোসেন জুবেরীকে সাথে নিয়ে মাদার বখশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। এভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তার বিনিময়ে অনেক ছাত্রনেতা এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জ্ঞানি গুণী মানুষদের কারাবন্দি হতে হয়েছিল।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার পর সর্বপ্রথম ১৬১ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রথম ক্লাস শুরু করা হয়েছিল রাজশাহী কলেজে। উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের দপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয় পদ্মা নদীর তীরের বড় কোটি নামে পরিচিত ঐতিহাসিক নীলকুঠির উপর তলায়। আর সেই বড় কুঠির নিকটে ই তৎকালীন ভোলানাথ বিশ্বেশ্বর হিন্দু একাডেমিতে চিকিৎসা কেন্দ্র ও পাঠাগার তৈরি করা হয়। আর তৎকালীন জমিদার কুঞ্জমোহনের বাসায় স্থাপন করা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম রেজিস্টার নিযুক্ত হন ওসমান গনি ও প্রথম পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে নিযুক্ত হন অধ্যাপক আব্দুল করিম। রাজশাহী শহরের বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া নেওয়া বাসায় তৈরি হয় ছাত্রাবাস। অপরপক্ষে বড়কুঠি এলাকার লালকুঠি ভবনে স্থাপন করা হয় ছাত্রী নিবাস। পরিশেষে ১৯৫৮ সালে বর্তমান ক্যাম্পাসের দালানকোঠা ও রাস্তাঘাট নির্মাণ কাজ শুরু হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম সমস্ত স্থানান্তর করা হয় ১৯৬৪ সালে মতিহারের নিজস্ব ক্যাম্পাসে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপত্য পরিকল্পনা করেন অস্ট্রেলিয়ান স্থপতি ড. সয়ানি টমাস।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতীক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতীকে রয়েছে বৃত্ত, যা বিশ্বের প্রতীক। একটি উন্মুক্ত গ্রন্থ, যেটা জ্ঞানের প্রতীক। তার পাশাপাশি রয়েছে আকাশ দৃষ্টি থেকে শাপলা ফুল, যা সৌন্দর্য, পবিত্রতা এবং জাতীয় প্রতীক। একটি সূর্য যার অর্থ প্রাণ এবং সেটা শক্তির প্রতীক। যার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন প্রতি পুরস্কার ঘোষণা করার আহবান করা হয়।

শিল্পী গোলাম সারোয়ার এর আকামুল নকশা নির্বাচনের পর সেটা পরিবর্তন করে নতুন প্রতীকে রূপ দেন শিল্পী চারজন জয়নুল আবেদীন ও শিল্পী হাশেম খান। প্রতীকের রং বৃত্ত ও মূল গ্রন্থ কোবাল্ট ব্লু। যা আকাশ, নদী এবং উদারতার রং বহন করে। গ্রন্থের বাইরের রং লাল যা জাতীয় পতাকার রং। এবং গ্রন্থের মধ্যে রেখা সোনালী, যাতে বোঝানো হয় সোনার মতোই মূল্যবান শিক্ষার গুণগত মান বা মূল্য।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসটি প্রায় ৭৫৩ একর বা ৩০৪ হেক্টর এলাকা জুড়ে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর গবেষণা ইনস্টিটিউট রয়েছে ৫ টি। পাশাপাশি ৯ টি অনুষদের আওতায় ৫৯ টি বিভাগে বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের উত্তর-পূর্ব দিক জুড়ে রয়েছে ১১ আবাসিক হল ছাত্রদের জন্য।

পাশাপাশি পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে ৬ টি আবাসিক হল ছাত্রীদের জন্য। এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পূর্ব দিকে রয়েছে একটি ডরমিটরি যা গবেষকদের জন্য নির্মাণ করা হয়। পশ্চিম এবং পূর্ব প্রান্ত জুড়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী ও শিক্ষকদের আবাসিক এলাকা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা যা বাংলাদেশের সর্বপ্রথম স্থাপিত একটি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

এছাড়াও রয়েছে একটি ভাস্কর্য যা সাবাস বাংলাদেশ নামে পরিচিত। তা ছাড়া রয়েছে গোল্ডেন জুবিলী টাওয়ার। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ টি সাংবাদিক সংগঠন সক্রিয় আছে বর্তমানে। তাছাড়া রয়েছে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট যা ১৫ টি সংগঠন নিয়ে গঠিত। তাছাড়া প্রত্যেকটি ডিপার্টমেন্টে একটি করে সংগঠন রয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বিভিন্ন রকমের সহযোগিতা করা হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে ক্যারিয়ার ক্লাব রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার সচেতনতা সম্পর্কে উপদেশ মূলক কার্যক্রম করা হয়। এবং রাজশাহী শহরে একটি বরেন্দ্র জাদুঘর ও গবেষণা ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয় যা বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে থাকে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-সুবিধা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীর শিক্ষা সহায়তার জন্য ও গবেষকদের গবেষণা সহায়তার জন্য স্থাপন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও বিভাগীয় সেমিনার লাইব্রেরী এবং বিভাগীয় কম্পিউটার ল্যাব। তাছাড়া আরও রয়েছে ইনস্টিটিউট ও অনুষদ লাইব্রেরী, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর লাইব্রেরি এবং কম্পিউটার সেন্টার। সংস্কৃতি চর্চার জন্য রয়েছে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বা টিএসসিসি।
শরীরচর্চার জন্য রয়েছে স্টেডিয়াম, জিমনেসিয়াম, সুইমিংপুল সহ প্রয়োজনীয় সমস্ত সুযোগ সুবিধা। বর্তমান সময়ে প্রতিবছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জমকালো আয়োজনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষার্থীদের বিনোদন দেওয়ার জন্য দেশের এবং দেশের বাহির থেকে নামিদামি ও সুনামধন্য গায়ক গায়িকা নিয়ে আসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও আনন্দ উৎসব সব কিছুর সমানভাবে উদযাপিত করা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্য

বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ৭ টি স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্য রয়েছে।
সেগুলো হলোঃ
  • শহীদ মিনার কমপ্লেক্স
এখানে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার, শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা দুটি মুরাল ও উন্মুক্ত মঞ্চ। বর্তমানে সেটাকে সবাই ওয়াইফাই জন নামে চিনে।
  • সাবাস বাংলাদেশ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের দক্ষিণ চত্বরে অবস্থিত সাবাস বাংলাদেশ ভাস্কর্যটি। এই ভাস্কর্যটি তৈরি করে প্রয়াত শিল্পী নিতুন কুন্ডু। যার পাদদেশে একটি মুক্ত মঞ্চ আছে।
  • বিদ্যার্ঘ
বিদ্যার্ঘ স্মারকসৌধটি মুক্তিযুদ্ধকালে শহীদ গণিত বিভাগের শিক্ষক হাবিবুর রহমানের স্মরণে নির্মাণ করা হয়। যা বর্তমানে শহীদ হাবিবুর রহমান হল চত্বরে অবস্থিত।
  • স্ফুলিঙ্গ
৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ডঃ শামসুজ্জোহার স্মরণে এই ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়। যা বর্তমানে শামসুজ্জোহা হল প্রাঙ্গনে অবস্থিত।
  • সুবর্ণজয়ন্তী টাওয়ার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুবর্ণ জয়ন্তীর স্মারক এই টাওয়ার। প্রধান ফটো পেরিয়ে সড়কদ্বীপের ডানে প্রশাসন ভবনের সামনে গোল চত্বরের দক্ষিণ পূর্বে সুবর্ণ জয়ন্তী টাওয়ারের অবস্থান।
  • বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ
বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে বদ্ধভূমি স্মৃতিস্তম্ভ অবস্থিত।
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের অবস্থান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পাশে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ও ইন্সটিটিউট

বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ টি অনুষদের আওতায় ৫৯ টি বিভাগ আছে। এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪১ টি। তার মধ্যে ১১ সরকারি ও ২৪ টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ গুলো হলোঃ
  • কলা অনুষদ
  • বিজ্ঞান অনুষদ
  • প্রকৌশল অনুষদ
  • কৃষি অনুষদ
  • বিজনেস স্ট্যাডিজ অনুষদ
  • সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
  • আইন অনুষদ
  • জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদ
  • চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুষদ
  • চারুকলা অনুষদ
  • ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্স অনুষদ
তাছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চতর গবেষণা ইন্সটিটিউট রয়েছে ৫ টি
সেগুলো হলোঃ
  • ইন্সটিটিউট অফ বাংলাদেশ স্টাডিজ
  • ইন্সটিটিউট অফ বায়োলজিক্যাল সাইন্স
  • ব্যবসায়ী প্রশাসন ইন্সটিটিউট
  • শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট
  • পরিবেশ বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল সমূহ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ১৭ টি হল এবং একটি আন্তর্জাতিক মানের ডরমেটরি রয়েছে। ১১ হলে ছেলেরা থাকে এবং ৬ হলে মেয়েরা থাকে। ছেলেদের হল সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পূর্ব দিকে অবস্থিত। ছেলেদের হলে কোন গণরুম নেই। হল গুলোর নাম হলোঃ
  • মতিহার হল
  • শেরে-ই-বাংলা ফজলুল হক হল
  • শাহ মখদুম হল
  • নবাব আব্দুল লতিফ হল
  • সৈয়দ আমির আলী হল
  • শহীদ শামসুজ্জোহা হল
  • শহীদ হাবিবুর রহমান হল
  • মাদার বখশ হল
  • শহিদ সোহরাওয়ার্দী হল
  • শহীদ জিয়াউর রহমান হল
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের পশ্চিম পাশে মেয়েদের হল অবস্থিত। হল গুলোর নাম হলোঃ
  • মন্নুজান হল
  • রোকেয়া হল
  • তাপসী রাবিয়া হল
  • বেগম খালেদা জিয়া হল
  • রহমতুন্নেসা হল
  • বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবস্থা

শিক্ষার্থীর তুলনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুবই সীমিত। যার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে পড়াশোনা করেন। তার ফলে বাহিরে থেকে ক্যাম্পাসে আসা যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাস পরিচালনা করে থাকে। তাদের নির্দিষ্ট রূট সীমানা রয়েছে। তার মধ্যে থেকে যতগুলো শিক্ষার্থী আছে সবাই ক্যাম্পাসে যাওয়া আসা করার জন্য বাস ব্যবহার করতে পারবে।

তবে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর জন্য নির্দিষ্ট। বহিরাগত কোন মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবস্থার সুবিধা পাবে না। রাজশাহী শহর বা তার আশেপাশের অনেকটা এরিয়া জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের পরিবহন ব্যবস্থা চালু রেখেছে। যাতে করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সকল শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আসতে পারে।

আপনি চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবস্থার সুবিধা ভোগ করতে পারেন। তার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব পেতে হবে।

শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাকে জানানোর চেষ্টা করেছি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল তথ্য।আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে এটি অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। যে কোন ধরনের শিক্ষণীয় বিষয় জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url