ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা কত তা জানুন

পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুনআসসালামু আলাইকুম, সুপ্রিয় পাঠক ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা কত তা জানুন ও ধনেপাতা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা কত তা জানুন আজকের আর্টিকেলে
আজকের আর্টিক্যালের মাধ্যমে আমরা জানানোর চেষ্টা করেছি ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কত ধনেপাতা সম্পর্কে সকল তথ্য জানার জন্য আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
সূচিপত্র: ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা কত তা জানুন

উপস্থাপনা

আজকের আর্টিকেলে আপনি জানতে পারবেন ধনেপাতার বিবরণ, ধনেপাতার গুনাগুন, ধনেপাতার ব্যবহার কিভাবে করতে হয়, ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা কত ও অপকারিতা কি সহ সববিষয়। তাই ধনেপাতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।

ধনেপাতার বিবরণ

ধনে বা ধনিয়া সুগন্ধি ঔষধি গাছ। যেটি একবর্ষজিবি উদ্ভিদ। ধনেপাতা মূলতো উত্তরা আফ্রিকা দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার একটি স্থানীয় উদ্ভিদ। ধনে পাতার বীজ থেকে সুগন্ধি তেল, ওষুধ ও মদ তৈরি করা হয়। বঙ্গ অঞ্চলের সব জায়গায় ধনের বীজ খাবারের মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ধনেপাতা মূলত এশিয়া অঞ্চলে চাটনী ও মেক্সিকান অঞ্চলে সালাত হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

ধনেপাতা মূলত বিরুৎ জাতীয় তৃণ। এর পাতা মূলত ছোট, রং সবুজ ও মসৃণ হয়। ধনেপাতার ডালপালা অনেক বেশি হয় ও দেখতে অনেক সরু হয়। ছোট ছোট থোকায় ফুল ফোটে ফুলের রং দেখতে সাদা হয়। ফুল থেকে দানা আকৃতির ফল হয় ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ রং ধারণ করে থাকে।

ধনেপাতার গুনাগুণ

ধনেপাতার অনেক গুণাগুণ রয়েছে
সেগুলো হলোঃ
  • পেটের সমস্যা দূর করা
  • চুল ওঠা ও খুশকি সমস্যা দূর করা
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করা
  • ধনে পাতায় রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা বাতের ব্যাথা কমায়
  • শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করে
  • ত্বক সুন্দর ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে
  • শরীরের হাড়ের ব্যথা ও যেকোনো ধরনের ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে

ধনেপাতার ব্যবহার

ধনেপাতা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয় যেমন বিভিন্ন রকমের খাবারের স্বাদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে রান্নায় বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে ধনেপাতা। আবার ঔষধ হিসেবে ধনেপাতার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে, যেমন ধনেপাতা বা ধনেপাতার রস ওষুধ হিসেবে মানুষ সেবন করে থাকে। তবে ওষুধের চেয়ে রান্নার কাজে বেশি ব্যবহার করা হয় ধনেপাতা।

ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা

ধনেপাতা পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুবই কমই আছে। কেননা ধনেপাতা পুষ্টিতে ভরপুর। বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় ধনেপাতার বীজ খাবারের মশলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ধনেপাতা খাওয়া আমাদের দেহের জন্য বেশ উপকারী। কেননা ধনে পাতাতে রয়েছে ১১ জাতের এসেনশিয়াল অয়েল, লিনোলেনিক এসিড, লিনোলেয়িক এসিড, পামিটিক এসিড, স্টিয়ারিক এসিড ও ফাইবার। তাছাড়াও ভিটামিনের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে , থায়ামিন ও রিবোফ্লাভিন।
ধনে পাতা খাওয়ার ফলে শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা অনেক কমে যায় এবং ভালো কোলেস্টরলের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। কারন ধনেপাতায় কোলেস্টরলের মাত্রা একদম শূন্য। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ধনেপাতা বিশেষ উপকারী উপাদান। কারোন এটিতে ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় থাকে এবং রক্তে সুগারের মাত্রা কমায় তার ফলে খুব সহজে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হয়। ধনেপাতায় অ্যান্টি সেপটিক থাকে যা মুখের আলসার দূর করতে কাজ করে এবং ধনেপাতা খাওয়া চোখের জন্যেও অনেক উপকারী।

ঋতুস্রাবের সময় রক্ত সঞ্চালন ভালো হওয়ার জন্য ধনেপাতা খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। কেননা এতে দেহের অনেক উপকার হয় এবং খুব দ্রুত রক্তশূন্যতা নিরাময় হয়। ধনেপাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন অ্যাসকরবিক এসিড, বিটাক্যারেটিন, ম্যাংগানিজ পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ধনেপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা বাতের ব্যথা সহ হাড় এবং জয়েন্ট এর ব্যথা নিরাময় করতে কাজ করে। ধনেপাতা মানুষের স্মৃতিশক্তি প্রখর এবং মস্তিষ্কের স্নায়ু সচল রাখতে সাহায্য করে।

ধনেপাতায় প্রচুর পরিমানে ভিটামিন কে পাওয়া যায় যা অ্যালগঝেইমার রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ধনেপাতা খাওয়ার ফলে ত্বকের জ্বালাপোড়া করা এবং ত্বক ফুলে যাওয়া ভালো হয়। কেননা ধনেপাতায় রয়েছে এসেনশিয়াল অয়েল, লিনোলেয়িক ও লিনোলিক এসিড, যা ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। ধনেপাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি হিস্টামিন উপাদান থাকায় এলার্জি বা এর ক্ষতিকারক প্রভাব অনেক দূরে রাখে যাতে করে ত্বক সুন্দর থাকে। একমাত্র ধনেপাতায় খাবারের মাধ্যমে সৃষ্ট সবচেয়ে ভয়াবহ রোগ সামলাতে পারে।

কেননা ধনেপাতার উপস্থিত ডডেশিনাল উপাদান প্রাকৃতিক উপায়ে সালমোনেলা জাতীয় রোগ সারিয়ে তুলতে অ্যান্টিবায়োটিকের থেকে দ্বিগুণ কার্যকর। তাছাড়া শরীরের যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য আপনি ধনেপাতা সেবন করতে পারেন। তাতে করে আপনার দেহের সব রোগ, ত্বকে দাক পড়া, খুব সহজে নিস্তার করা সম্ভব।

বিশেষ করে যাদের মাথায় চুল কম বা চুল ঝরে পড়ে তারা বেশি বেশি ধনেপাতা সেবন করতে পারেন, কেননা ধনেপাতাতে থাকা উপাদান সমূহ আপনার চুল শক্ত করবে ও ঝরে পড়া রোধ করবে। যাতে করে মাথার খুশকি হওয়া উপাদান আপনার মাথায় বাসা বাঁধতে পারবে না। তার জন্য ধনেপাতা নিয়মিত সেবন করা আবশ্যক।

ধনেপাতা খাওয়ার অপকারিতা

প্রতিটা খাদ্যের উপকার এবং অপকার দুটো বিদ্যমান কেননা পরিমানের চেয়ে বেশি সেবন করলে উপকারের চেয়ে অপকার বেশি হবে এবং খাবারের সময় নিয়ন্ত্রণ করে খেতে হবে। কেননা নিয়মিত সেবন না করলে সেটি কোন উপকারে আসবে না। তাই সঠিক উপকার পাওয়ার জন্য নিয়মিত এবং পরিমান মতো ধনেপাতা সেবন করুন।

শেষ কথা

সুপ্রিয় পাঠক, আর.বি.আর ব্লগের এই আর্টিকেলে ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। যে কোন বিষয়ের সঠিক তথ্য সবার আগে পেতে আর.বি.আর ব্লগের গুগল নিউজে ফলো দিয়ে রাখুন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url